বন্দর নগরীর আকবর শাহ থানার জঙ্গল লতিফপুর, পাকা রাস্তার মাথা এবং বন্দর থানার পিসি রোড এলাকায় অভিযান চালিয়ে শনিবার তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- মো.
নয়ন (২৩), আরিফুল ইসলাম আরিফ (২৩) ও আব্দুল লতিফ
(২২)।
আকবর শাহ থানার ওসি জহির হোসেন জানান, ২২ বছর বয়সী এক তরুণী পরিবারের সঙ্গে রাগ করে কুমিল্লা থেকে শনিবার চট্টগ্রামে চলে আসেন। পরে তিনি বাড়ি ফিরে যাওয়ার চেষ্টা করলেও টাকা না থাকায় টিকেট কাটতে পারেননি। কয়েক কিলোমিটার হাঁটার পর ক্ষুধার্থ ও ক্লান্ত হয়ে ওই তরুণী শাপলা আবাসিক এলাকার এনআর স্টিল মিল সংলগ্ন মীর আওলিয়ার মাজারের কাছে একটি ঘরের পাশে খোলা জায়গায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলেন।
“ওই সময় তরুণীকে দেখে এক যুবক গিয়ে তার সাথে কথা বলেন এবং তার ঘরে নিয়ে মা-বাবার সাথে রেখে কাজ ঠিক করে দেওয়ার প্রস্তাব দেন। এ সময় সেখানে আরও দুজন উপস্থিত হয়। ওই তরুণী রাজি হওয়ায় তারা পাশের একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে যায় তাকে। সেখানে তিন জনে মিলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করে সেখানে ফেলে চলে যায়।”
স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ শনিবার দুপুরে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে জানিয়ে ওসি বলেন,
ওই তরুণী এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে তিনজনের শারীরিক গঠনের বর্ণনা শুনে বিভিন্ন স্থানে অভিযান শুরু করে পুলিশ।
রাগ করে কুমিল্লা থেকে চট্টগ্রাম গিয়ে ‘ধর্ষণের শিকার’
বিকেলে জঙ্গল লতিফপুর থেকে আরিফ, সন্ধ্যায় পাকা রাস্তার মাথা থেকে নয়নকে এবং রাত সাড়ে ১১টার দিকে বন্দর থানার পিসি রোড থেকে লতিফকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ওসি জহির বলেন,
“প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা তিনজন তরুণীকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে। তারা জানিয়েছে, নয়ন প্রথমে গিয়ে ওই তরুণীর সাথে কথা বলে তার বাসায় নিয়ে যাবার প্রস্তাব দেন। মেয়েটি রাজি হলে সে কৌশলে আরিফ ও লতিফকে ডেকে আনে।”
নয়ন ও আরিফ গতবছরের এপ্রিল মাসে আরেক
তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে ছিলেন। জামিনে ছাড়া পেয়ে তারা আবারও একই অপরাধে জড়িয়েছেন বলে ওসির ভাষ্য।