মহামারীর মধ্যে নিত্য পণ্যের চড়া বাজারের মধ্যে টিসিবির ট্রাক থেকে
সুলভে পণ্য কিনতে নিম্নবিত্তের পাশাপাশি এখন মধ্যবিত্তদেরও দেখা যাচ্ছে।
এর মধ্যে ডিলারদের মাধ্যমে ট্রাকে করে পণ্য বিক্রি চললেও ঈদের আগে ২৪
এপ্রিল থেকে তা বন্ধ ছিল।
আগামী সপ্তাহে আবার পণ্য বিক্রি শুরু হবে বলে টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার
জেনারেল মো. আরিফুল হাসান জানিয়েছেন।
তিনি রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “১৫
বা ১৬ মের মধ্যে (শুরু) হতে পারে।”
গত এপ্রিলে টিসিবির ট্রাক থেকে একজন ভোক্তা ৫৫ টাকা কেজি দরে সর্বোচ্চ
দুই কেজি চিনি, ১১০ টাকা দরে সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল এবং ৩০ টাকা কেজি
দরে ২ থেকে ৫ কেজি পেঁয়াজ কিনতে পারছিলেন। আর মসুর ডাল ৬৫ টাকা কেজি ।
টিসিবির ট্রাক সেলে যখন সয়াবিন তেলের লিটার ১১০ টাকা ছিল, তখন বাজারে দাম ছিল ১৬০ টাকা।
এর মধ্যে সয়াবিন তেলের সঙ্কট দেখা দিলে দামও বেশ বাড়ে। ঈদের পর দাম
বেড়ে প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল ১৮০ টাকা এবং বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৯৮ টাকা
হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে টিসিবির ট্রাক সেলে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধির
প্রস্তাব রয়েছে জানালেও ব্রিগেডিয়ার আরিফুল বলেন, এবিষয়ে এখনও কোনো চূড়ান্ত
সিদ্ধান্ত হয়নি।
ভোটের অমোচনীয় কালি এখন টিসিবির লাইনেও
সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ৪০ টাকা বাড়ল
কোথাও মিলছে না সয়াবিন তেল, হঠাৎ ‘উধাও’
আবার ফ্যামিলি কার্ডে
টিসিবির পণ্য?
রোজার মাসকে কেন্দ্র করে গত মার্চ ও এপ্রিল মাসে সারাদেশে তালিকাভুক্ত
এক কোটি পরিবারের কাছে ফ্যামিলি কার্ডের সুলভ মূল্যের পণ্য বিতরণ করেছিল টিসিবি।
আগামী জুনের পর সরকার এধরনের আরেকটি কর্মসূচি হাতে নেওয়ার চিন্তা
করছে বলে জানান বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
তিনি রোববার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, রোজার আগে ও রোজার
সময় এক কোটি নিম্ন আয়ের মানুষকে টিসিবির সুলভ মূল্যের পণ্য দেওয়া হয়েছিল। আগামী
জুন থেকে সেটা আবারও চালু করার চেষ্টা চলছে। তবে এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
“সেটার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। ইতোমধ্যে
জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় কমিশনারদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে,”
বলেন তপন ঘোষ।