দেশটির আবুজায় ১২তম আন্তর্জাতিক জুমা চলচ্চিত্র উৎসবে বৃহস্পতিবার প্রমাণ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হয়েছে বলে জানিয়েছে সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন (সিআরআই)।
নাইজেরিয়ান ফিল্ম কর্পোরেশন ও নাইজেরিয়া সরকারের ফেডারেল ক্যাপিটাল টেরিটোরি অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের যৌথ আয়োজনে চলচ্চিত্র উৎসবের আয়োজন করেছে।
উৎসবে ‘হাসিনা: এ ডটারস টেল’ দেখতে বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক, চলচ্চিত্র নির্মাতা, প্রযোজকসহ সাধারণ দর্শক উপস্থিত ছিলেন।
সেই আয়োজনে নাইজেরিয়া ফিল্ম কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক চিডুয়া মেডুয়েকওয়ে অনুষ্ঠানে বলেন, প্রামাণ্যচিত্রে শেখ হাসিনার সংগ্রামী জীবনের গল্প উপস্থিত দর্শকদের অনুপ্রাণিত করেছে। এ প্রামাণ্যচিত্রে তার সংগ্রাম, ত্যাগ ও কাজের প্রতি একাগ্রতার গল্প সুনিপুণভাবে তুলে আনা হয়েছে।
“প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার তার বাবার আদর্শকে লালন করে চলেছেন এবং তা পরবর্তী প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে কাজ করছেন।
নাইজেরিয়ার চলচ্চিত্র নির্মাতা ও প্রযোজক স্টিভ এবোহ বলেন, “এ প্রামাণ্যচিত্রে আবেগ, ছবি, শব্দের অপূর্ব সমন্বয় ঘটেছে; একটি দারুণ একটি গল্প।”
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে আসামের গুয়াহাটিতে আয়োজিত প্রথম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে প্রামাণ্যচিত্রটি প্রদর্শিত হয়েছে।
২০১৮ সালের নভেম্বরে ‘হাসিনা: আ ডটারস টেল’ সিনেমা হলে মুক্তি পায়। পরে টেলিভিশন চ্যানেলেও এর সম্প্রচার হয়।
১৯৫২ সালে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকায় আসা থেকে শুরু করে শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক জীবনের বিভিন্ন ঘটনা উঠে এসেছে এই প্রামাণ্যচিত্রে।
১৯৭৫ সালের ১৫ অগাস্ট দুই বোন শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকা অবস্থায় পরিবারের সব সদস্যসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করা হয়।
এরপর নির্বাসিত জীবন কাটিয়ে ১৯৮১ সালে দেশে ফেরা, দিক হারানো আওয়ামী লীগের হাল ধরে দলকে আবার কক্ষপথে ফেরানো, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে প্রধানমন্ত্রিত্ব- সব বিষয়ই প্রামাণ্যচিত্রে তুলে এনেছেন নির্মাতা।
শেখ হাসিনাকে নিয়ে নির্মিত এই প্রামাণ্যচিত্রে স্বাভাবিকভাবেই উঠে এসেছে বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে তার সম্পর্ক, তার সংস্পর্শে বেড়ে ওঠা, বাবার রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি তার অবিচল আস্থা ও বিশ্বাসের বিষয়টি।
পিপলু খান নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রটি এরই মধ্যে বিভিন্ন দেশে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সিআরআই এর ব্যানারে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রটির প্রযোজক হিসেবে রয়েছেন বঙ্গবন্ধুর দৌহিত্র, সিআরআইয়ের ট্রাস্টি রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, সিআরআইয়ের ট্রাস্টি নসরুল হামিদ।
প্রামাণ্যচিত্রটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন দেবজ্যোতি মিশ্র, সিনেমাটোগ্রাফিতে সাদিক আহমেদ, সম্পাদনা করেছেন নবনীতা সেন।