সোমবার রাজধানী মস্কোর রেড স্কয়ারে
বিজয় দিবসের প্যারেডে দেওয়া ভাষণে পুতিন বড় ধরনের কোনো ঘোষণা দেননি।
বিবিসি জানিয়েছে, ভাষণে রাশিয়ার
প্রেসিডেন্ট ইউক্রেইনে রাশিয়ার আক্রমণকে নায্যতা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, রাশিয়ার সীমান্তে
নেটো ও ইউক্রেইন হুমকি তৈরি করছিল যা মস্কোর কাছে ‘গ্রহণযোগ্য ছিল না’ বলে দাবি করেছেন।
রাশিয়ার যোদ্ধারা এখন দেশের নিরাপত্তার জন্য লড়াই করছে বলেও দাবি করেন তিনি।
ছবি: রয়টার্স
বলেন, “আপনারা আপনাদের মাতৃভূমির
জন্য লড়াই করছেন। প্রত্যেকটি সেনা ও কর্মকর্তার মৃত্যু আমাদের জন্য বেদনাদায়ক। তাদের
পরিবারের দেখভালের জন্য রাষ্ট্র সবকিছু করবে।”
‘মহান বিজয়’ অর্জনের জন্য যুদ্ধে
লড়ার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সাবেক সেনাদের অভিবাদন জানান তিনি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অ্যাডলফ
হিটলারের নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের জয়কে বিজয় দিবস হিসেবে পালন
করে রাশিয়া।
রাশিয়ার বিজয় দিবসে পশ্চিমাদেরকে ‘প্রলয়’ সংকেত পাঠাবেন পুতিন
ইউক্রেইনে রাশিয়ার ‘বিশেষ সামরিক
অভিযান’ দরকারি এবং ‘সময়োচিত’ ছিল বলে দাবি করেছেন তিনি। এটি একটি স্বাধীন, শক্তিশালী,
সার্বভৌম রাষ্ট্রের ‘সঠিক সিদ্ধান্ত’ ছিল বলে মন্তব্য করেন।
পুতিন বলেন, গত কয়েক বছর ধরে
নেটো ও অন্য ইউরোপীয় দেশগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা চলছিল।
“রাশিয়া একটি ন্যায্য আপসের জন্য
ইউরোপকে আহ্বান জানিয়েছিল, কিন্তু তারা আমাদের কথা শোনেনি। বরং তারা ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলীয়
দনবাসে একটি শাস্তিমূলক অভিযান চালানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এখন রাশিয়া সেখানে
অভিযান চালাচ্ছে,” বলেন তিনি।
ছবি: রয়টার্স
“কিইভে তারা বলতে শুরু করেছিল,
তারা পারমাণবিক অস্ত্র পেতে পারে আর নেটো আমাদের ভূখণ্ডের কাছ ঘেঁষে আনাগোনা শুরু করে।
এটি আমাদের দেশ ও সীমান্তের জন্য সুস্পষ্ট হুমকি হয়ে ওঠে। সবকিছুই আমাদের বলছিল যে
একটা যুদ্ধ করা দরকার।”
তিনি বলেন, “পশ্চিমারা ক্রিমিয়াসহ
আমাদের ভূমি দখল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
এরপর পুতিন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে
ও দানবাসে নিহত রাশিয়ার সেনাদের জন্য এক মিনিট নিরবতা পালনের আহ্বান জানান।
তার ভাষণ শেষ হওয়ার পর মস্কোর
ঐতিহাসিক রেড স্কয়ারে উপস্থিত কয়েক হাজার সেনা উল্লাস প্রকাশ করেন। এরপর কামান থেকে
তোপ দাগানো ও রাশিয়ার জাতীয় সঙ্গীত বাজানো হয়।