ক্যাটাগরি

ক্লিনটন-মনিকা সম্পর্কের কথা ফাঁসকারী নারীর মৃত্যু

অগ্নাশয়ের ক্যান্সারে ভোগা ৭০ বছর বয়সী এ নারীর মৃত্যুর খবর বুধবার তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যমগুলোকে জানিয়েছে।

ট্রিপের সঙ্গে লিউনস্কির কথোপকথনের রেকর্ডিং ১৯৯৮ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্টের অভিশংসন বিচারের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছিল।

সেই থেকে এ নারী অনেকের কাছে ‘হুইসেলব্লোয়ার’, আবার কারও কারও কাছে পক্ষপাতদুষ্ট হিসেবে নিন্দিত হয়ে আসছেন বলে বিবিসি জানিয়েছে।

বয়সে ২৪ বছরের পার্থক্য সত্ত্বেও পেন্টাগনে কর্মরত ট্রিপের সঙ্গে লিউনস্কির এক ধরনের বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছিল; ওই বন্ধুত্বের সূত্রেই তিনি হোয়াইট হাউসের তরুণী শিক্ষানবীসের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের যৌন সম্পর্কের বিষয়টি জানতে পারেন এবং ১৯৯৭ সালে তিনি গোপনে লিউনস্কির সঙ্গে কথোপকথন রেকর্ড করতে থাকেন।

ক্লিনটন প্রশাসন নিয়ে বিস্তৃত তদন্তে নামা বিশেষ কৌঁসুলি কেনেথ স্টারকে পরে তিনি ওই রেকর্ডিং টেপগুলো দেন।

ওই যৌন কেলেঙ্কারি ১৯৯৮ সালে রিপাবলিকান নিয়ন্ত্রিত মার্কিন কংগ্রেসের প্রতিনিধি পরিষদে ক্লিনটনের অভিশংসন প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করেছিল; মনিকার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে মিথ্যাচারের দায়ে প্রেসিডেন্ট সেসময় দোষীও সাব্যস্ত হয়েছিলেন।

ডেমোক্রেট নিয়ন্ত্রিত তখনকার সিনেট পরে ক্লিনটনকে খালাস দিলেও এ ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতির দ্বিধাবিভক্তি আরও স্পষ্ট করে তোলে। পরের বছরগুলোতে ওই বিভক্তি ধীরে ধীরে দলীয় পক্ষপাত ও তিক্ততায় রূপ নেয়।

সেসময় ট্রিপ, ক্লিনটন-মনিকার সম্পর্ক বিষয়ক তথ্য স্টার নেতৃত্বাধীন তদন্ত দলকে দেশপ্রেমের কারণে দেয়ার কথা বললেও সমালোচকরা তার বিরুদ্ধে বন্ধুর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা ও প্রেসিডেন্টের সম্মানহানির অভিযোগ করেছিলেন।

২০০১ সালে ক্লিনটনের মেয়াদের একেবারে শেষদিন ট্রিপ পেন্টাগন থেকে চাকরিচ্যুত হন; পরে ভার্জিনিয়ায় স্বামীর সঙ্গে একটি দোকান খোলেন তিনি।

ট্রিপের অসুস্থতার খবরে লিউনস্কি টুইটারে সহমর্মিতাও জানিয়েছিলেন।

“অতীত কোনো ব্যাপার নয়। লিন্ডা ট্রিপ খুব অসুস্থ এ সংবাদ শুনে আমি তার দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। কল্পনাও করতে পারছি না, তার পরিবার এখন কী কঠিন সময় পার করছে,” বলেছিলেন তিনি।

১৯৯৮ সালে ক্লিনটনের বিচারে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে ট্রিপের বিরুদ্ধে তীর্যক মন্তব্য করেছিলেন লিউনস্কি। বলেছিলেন, “যা ঘটেছে তার জন্য আমি সত্যিই দুঃখিত আর লিন্ডা ট্রিপকে ঘৃণা করি আমি।”