রোজার মধ্যে পুরনো দামে কেনা সেই তেল এখন দাম বাড়ার পর তিনি নতুন দরে বিক্রি শুরু করেছিলেন।
কিন্তু ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে ধরা পড়ার পর তাকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা গুণতে হয়েছে।
তবে তিনি যদি এই তেল নতুন দরে বিক্রি করতে পারতেন, তাহলে তার কমপক্ষে ৬ লাখ টাকা লাভ হত। কেননা প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৪০ টাকা বেড়েছে।
রোজার শেষে এই মাসের শুরুতে খুচরা দোকানে সয়াবিন তেল উধাও হয়ে গিয়েছিল, যদিও মিল থেকে সরবরাহ ঠিকই ছিল।
ঈদের পর দাম বাড়বে বলে পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতারা সয়াবিন তেল মজুদ করেছিলেন বলে যে সন্দেহ করা হচ্ছিল, দাম বাড়ার পর রোববার ও সোমবার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের অভিযানে তার সত্যতা মিলতে থাকে।
৪০ হাজার টন সয়াবিন তেল মজুদদারদের ঘরে, ধারণা ভোক্তা অধিদপ্তরের
সোমবার তেমনই এক অভিযানে পাহাড়তলী বাজারের বিল্লি লেইনের সিরাজ স্টোরের গুদাম থেকে ১৫ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করে ভোক্তা অধিদপ্তর।
অধিপ্তরের কর্মকর্তারা বলেন, দোকান মালিক সিরাজ সওদাগর রোজার মধ্যে কম দামে সয়াবিন তেল কিনে মজুদ করে রেখেছিলেন।
ওই গুদামে বসুন্ধরা ব্রান্ডের আট, পাঁচ, তিন, দুই, এক ও আট লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল মিলেছে, যান সবটা মিলিয়ে তেলের পরিমাণ ১৫ হাজার লিটার।
অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় উপপরিচালক মো. ফয়েজ উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, সিরাজ সওদাগর সয়াবিন তেলের স্থানীয় ডিলার এবং খুচরা বিক্রেতা।
“তিনি রোজার সময়ে সয়াবিন তেল স্টক করে রেখেছিলেন। ঈদের পর সরকার দাম বাড়ালে আগের দামে কেনা তেল বেশি দামে বিক্রি করার জন্য অপেক্ষা করছিলেন।”
তিনি বলেন, সরকার নতুন দাম নির্ধারণের পর পুরনো দামে কেনা সয়াবিন তেল ওই ব্যবসায়ী বিক্রি শুরু করেছিলেন। জব্দ করা সয়াবিনের বোতলে পুরনো দামই লেখা ছিল।
এছাড়া মেয়াদোত্তীর্ণ কোমল পানীয়, নারকেল তেলসহ বিভিন্ন পণ্য পাওয়ার কথাও জানান অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
ফয়েজ উল্লাহ বলেন, অবৈধভাবে তেল মজুত করা এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য রাখায় দোকান মালিক সিরাজ সওদাগরকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগে রোববার নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকার কর্ণফুলী মার্কেটের মুদি দোকান খাজা স্টোরের গুদাম থেকে ভোক্তা অধিদপ্তর ১ হাজার ৫০ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল উদ্ধার করে।
এর আগে শনিবার রাতে ফটিকছড়িতে এক মুদি দোকানির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩২৮ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল উদ্ধার করে স্থানীয় প্রশাসন।