লা লিগায় রোববার আতলেতিকো মাদ্রিদের বিপক্ষে ১-০ গোলে হেরেছে রিয়াল। প্রথমার্ধে স্পট কিক থেকে ম্যাচের একমাত্র গোলটি করেন ইয়ানিক কারাসকো।
সিটিকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জায়গা করে নেওয়া রিয়াল এ ম্যাচে সাত পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছিল। প্রথম একাদশে ছিলেন না করিম বেনজেমা, ভিনিসিউস জুনিয়র, থিবো কোর্তোয়া, লুকা মদ্রিচদের মতো তারকারা। দ্বিতীয়ার্ধে মদ্রিচ এবং ভিনিসিউস মাঠে নামলেও বেনজেমা, কোর্তোয়া বেঞ্চেই ছিলেন। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দাপুটে ফুটবল উপহার দেয় আতলেতিকো।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালের আগে লিগে আরোও তিন ম্যাচ বাকি রিয়ালের। বৃহস্পতিবার লেভান্তেকে আতিথ্য দেবে দলটি। এরপর রয়েছে কাদিস ও রিয়াল বেতিসের বিপক্ষে ম্যাচ।
এই ম্যাচগুলোতে
খেলোয়াড়দের ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খেলাতে চান আনচেলত্তি। আতলেতিকো ম্যাচের পর ইতালিয়ান কোচ মুভিস্টারকে এমন পরিকল্পনার কথা জানালেন।
“হ্যাঁ, যারা এই ম্যাচে কম সময় খেলেছে,তারা এখন বৃহস্পতিবার খেলবে। কিন্তু যে দলটা বেতিসের বিপক্ষে খেলবে, কম-বেশি তারা সবাই চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলবে। লক্ষ্য হচ্ছে, সবাইকে যেন ফাইনালে পাওয়া যায়।”
সব প্রতিযোগিতা
মিলে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী আতলেতিকোর বিপক্ষে ১২ ম্যাচ পর হারের তেতো স্বাদ পেল রিয়াল। সবশেষ তারা হেরেছিল ২০১৮ সালে। তবে দলের দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় খুশি আনচেলত্তি।
“আমরা এখনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা, তীব্রতা এবং ভালো ছন্দ নিয়ে খেলার প্রত্যাশা করি। আজ দ্বিতীয়ার্ধে আমাদের ছন্দ ভালো ছিল।”
রিয়াল এ ম্যাচে প্রতিপক্ষের গোলমুখে ১৫টি শট নিতে পারে। যার ৬টি ছিল লক্ষ্যে। চলতি মৌসুমে কেবল কাদিসের বিপক্ষে গোলরক্ষককে এরচেয়ে বেশি বার (৯ বার) পরীক্ষার মুখে ফেলেও গোল পায়নি রিয়াল।
দলের এই প্রচেষ্টাতেই খুশি আনচেলত্তি। গুরুত্বপূর্ণ একটি সপ্তাহ পার করে আসার পর ছেলেদের কাছে এর বেশি চাওয়া ছিল না এই ইতালিয়ান কোচের।
“এটা দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক একটা ম্যাচ ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে আমরা অনেক ভালো খেলেছি, একটা উত্তেজনাপূর্ণ সপ্তাহের পর এরচেয়ে বেশি কিছু চাইতে পারতাম না।”