প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচে রোববার ৫-০ গোলে জিতেছে সিটি। জোড়া গোল করেন রাহিম স্টার্লিং, একটি করে রদ্রি, ফিল ফোডেন ও এমেরিক লাপোর্ত।
এই জয়ে ৩৫ ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফিরল সিটি। সমান ম্যাচে ৮৩ পয়েন্ট নিয়ে দুই নম্বরে নেমে গেছে লিভারপুল।
শেষ তিন ম্যাচে ৭ পয়েন্ট পেলেই শিরোপা ধরে রাখবে গুয়ার্দিওলার দল।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমি-ফাইনালের ফিরতে লেগে ৮৯তম মিনিট পর্যন্ত চালকের আসনে ছিল সিটি। দুই লেগ মিলিয়ে এগিয়ে গিয়েছিল ২ গোলে। তবে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তনের গল্প লেখে তাদের বিদায় করে দিয়ে ফাইনালে জায়গা করে নেয় রিয়াল মাদ্রিদ। সেই হারের পর প্রথম মাঠে নেমে প্রতিপক্ষের জালে গোল উৎসব করলেন স্টার্লিং, রদ্রি, ফোডেনরা।
গা গরমের সময় বিশেষ এক জার্সি পরে সের্হিও আগুয়েরোর গোলের ১০ বছর পূর্তি উদযাপন করেন কেভিন ডে ব্রুইনে, এদেরসনরা। লিগের অন্তিম মুহূর্তে আর্জেন্টাইন স্ট্রাইকারের সেই গোলে নাটকীয়ভাবে শিরোপা জিতেছিল সিটি।
ম্যাচ শুরুর পর জ্যাক গ্রিলিশ-স্টার্লিংরা বুঝিয়ে দেন, এবার তেমন কোনো নাটকীয়তা চান না তারা। লিভারপুলের সঙ্গে শিরোপা দ্বৈরতের ইতি টেনে দিতে চান যত দ্রুত সম্ভব।
শুরু থেকে প্রত্যাশিত আক্রমণাত্মক ফুটবলই খেলে সিটি। নিউক্যাসল ব্যস্ত থাকে রক্ষণ সামলাতে। সহজ-কঠিন মিলিয়ে কয়েকটি সুযোগ হাতছাড়া করার পর ১৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা।
ইলকাই গিনদোয়ানের উঁচু করে বাড়ানো বলে চমৎকার হেডে জোয়াও কানসেলো খুঁজে নেন স্টার্লিংকে। গোল মুখ থেকে হেডে ঠিকানা খুঁজে নেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড।
ছয় মিনিট পর ক্রিস উড বল পাঠান সিটির জালে। কিন্তু তাকে বল দেওয়া ব্রুনো গিমারেস অফসাইডে থাকায় মেলেনি গোল।
পরের মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ প্রায় করেই ফেলেছিলেন কানসেলো। তার শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন নিউক্যাসল গোলরক্ষক।
গোলরক্ষকের ব্যর্থতায় ৩৮তম মিনিটে স্কোর লাইন ২-০ করে ফেলে সিটি। গিনদোয়ানের ভলি ফেরাতে গিয়ে গড়বড় করে ফেলেন মার্তিন দুবব্রাউকা। ফিরতি বলে রুবেন দিয়াসের শট তার গায়ে লেগে ফেরত আসে। কাছেই থাকা এমেরিক লাপোর্ত খুঁজে নেন ঠিকানা।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বাড়তে পারত ব্যবধান। স্টার্লিংয়ের শট একজনের গায়ে লেগে একটুর জন্য জালে যায়নি। তবে গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। ডে ব্রুইনের কর্নারে চমৎকার হেডে কাছের পোস্ট ঘেঁষে জালে বল পাঠান রদ্রি।
এরপর খেলার গতি মন্থর করে দেয় সিটি। বল দখলে রেখে কাটিয়ে দিতে থাকে সময়। আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলতে শুরু করে নিউক্যাসল। ব্যবধান কমাতে পারেনি তারা। উল্টো শেষ সময়ে হজম করে আরও দুটি গোল।
৯০তম মিনিটে ওলেকসান্দার জিনচেঙ্কোর শট একটুর জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হতে যাচ্ছিল। তবে আট গজ দূর থেকে একটু দিক পাল্টে জাল খুঁজে নেন ফোডেন। যোগ করা সময়ে ডি বক্সে গ্রিলিশের পাস পেয়ে অনায়াসে নিজের দ্বিতীয় গোলটি করেন স্টার্লিং।
শুধু পয়েন্টের দিক থেকেই এগিয়ে যায়নি সিটি (৬৮), গোল পার্থক্যেও এখন লিভারপুলের (৬৪) চেয়ে এগিয়ে তারা।