সোমবার ঢাকা দলীয়
এক সভায় তিনি বলেন, “বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী
সভায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন
ইভিএমে। কোন পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে সেই আলোচনা ওই সভায় কতটা প্রাসঙ্গিক সে বিষয়ে মতভেদ
আছে।”
সংসদের বিরোধী দলীয়
উপনেতা কাদের বলেন, “নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে তা নির্ধারণের দায়িত্ব মূলত নির্বাচন
কমিশনের। নির্বাচনে পদ্ধতিগত কোনো পরিবর্তন আনতে নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর সাথে
আলোচনা করে মতামত নেবে এটাই স্বাভাবিক। ‘নির্বাচন হবে ইভিএমে’- প্রধানমন্ত্রীর এমন
বক্তব্যে বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিগুলোর মধ্যে সংশয় ও সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।”
বাংলাদেশের বাস্তবতায়
নির্বাচনে যন্ত্র ব্যবহারের বিরোধিতা করে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, “নিরক্ষরতার
জন্য আমাদের দেশে এখনো প্রার্থীর নামের পাশে প্রতীক ব্যবহার করতে হয়। এমন বাস্তবতায়
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোট গ্রহণ কতটা যৌক্তিক তা নিয়ে যথেষ্ট বিতর্ক আছে।”
বনানীতে দলীয় চেয়ারম্যানের
কার্যালয়ে জাতীয় যুব মহিলা পার্টির সঙ্গে এই মতবিনিময় সভায় ক্ষমতাসীনদের পাশাপাশি বিএনপিরও
সমালোচনা করেন জি এম কাদের।
তিনি বলেন, “দেশে
গণতন্ত্র নেই। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সংবিধানকে এমন ভাবে কাটাকাটি করেছে তাতে গণতন্ত্র
চর্চা সম্ভব নয়। দেশে সাংবিধানিক একনায়কতন্ত্র চলছে।”
জাতীয় যুব মহিলা
পার্টির আহ্বায়ক নাজনীন সুলতানার সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির মহাসচিব
মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, যুব
মহিলা পার্টির সদস্য সচিব সৈয়দা জাকিয়া আফরোজ হিয়া বক্তব্য দেন।