বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্তা সংস্থা সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, দুই দেশের আপত্তি খারিজ করে দিয়েছে আপিল কমিটি। বহাল রেখেছে দুই দলের ৫০ হাজার সুইস ফ্রাঁ করে জরিমানা।
গত ৫ সেপ্টেম্বর দুই চির প্রতিদ্বন্দ্বীর লড়াইটি নির্ধারিত সময়েই শুরু হয়েছিল। কিন্তু পাঁচ মিনিট পরই ব্রাজিলের স্বাস্থ্য বিভাগের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত স্থগিত হয়ে যায় ম্যাচটি।
আগে থেকেই আর্জেন্টিনার চার খেলোয়াড় কোয়ারেন্টিনের নিয়ম ভেঙেছে বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছিল। ম্যাচটি শুরুর ঘণ্টাখানেক আগেও রয়টার্সসহ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়, ওই চার জনকে হোটেলে আইসোলেশনে থাকতে বলেছে স্থানীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
তবে দলটির একাদশে দেখা যায় তাদের তিন জন-অ্যাস্টন ভিলার গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্তিনেস, টটেনহ্যাম হটস্পারের ডিফেন্ডার ক্রিস্তিয়ান রোমেরো ও মিডফিল্ডার জিওভানি লো সেলসোকে। ম্যাচের পঞ্চম মিনিটে মাঠে প্রবেশ করেন স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা অভিযোগ করেল ড্রেসিং রুমে চলে যায় সফরকারীরা।
ওই ঘটনার প্রেক্ষিতে গত ফেব্রুয়ারিতে মার্তিনেস, রোমেরো, লো সেলসো ও এমিলিয়ানো বুয়েন্দিয়াকে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থা। ম্যাচটি আবারও আয়োজনের সিদ্ধান্ত তখনই জানায় সংস্থাটি।
এছাড়া ‘শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা’ নিশ্চিত করতে ব্যর্থতার জন্য ব্রাজিল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে ৫ লাখ সুইস ফ্রাঁ ও আর্জেন্টনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশনকে ২ লাখ সুইস ফ্রাঁ জরিমানা করা হয়েছিল। আপিলে ব্রাজিলের কমেছে আড়াই লাখ, আর্জেন্টিনার ১ লাখ ফ্রাঁ।
শুধু স্থগিত ম্যাচটিই বাকি আছে, যা হওয়ার কথা আগামী ২২ সেপ্টম্বর। এটা স্রেফ নিয়মরক্ষারই ম্যাচ। দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাই পর্ব আগেই শেষ। ব্রাজিল (৪৫) ও আর্জেন্টিনা (৩৯) শীর্ষ দুইয়ে থেকে নিশ্চিত করে কাতার বিশ্বকাপে খেলা। এরই মধ্যে জানে গ্রুপ পর্যায়ের প্রতিদ্বন্দ্বীদের নাম।
গত ১ এপ্রিল হওয়া বিশ্বকাপের ড্রয়ে ‘জি’ গ্রুপে ব্রাজিলের সঙ্গে আছে সার্বিয়া, সুইজারল্যান্ড ও ক্যামেরুন।
আর গ্রুপ ‘সি’-তে আর্জেন্টিনার সঙ্গী পোল্যান্ড, সৌদি আরব ও মেক্সিকো।