ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর পরিচয় ও অবস্থান সংশ্লিষ্ট ডেটা গোপন রেখে দেশের সীমানায় নিষিদ্ধ ওয়েবসাইট ও ইন্টারনেট সেবা ব্যবহারের সুযোগ দেয় ভিপিএন।
রাশিয়ানরা কীভাবে সেন্সরশিপ এবং গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে, সেই বিষয়টি উল্লেখ করে মার্কিন দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, জনপ্রিয় ১০টি ভিপিএন-এর দৈনিক ডাউনলোড সংখ্যা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি ১৫ হাজার থেকে বেড়ে চার লাখ ৭৫ হাজারে এসে ঠেকেছিল মার্চে।
এখনও দৈনিক তিন লাখের মতো ডাউনলোড হচ্ছে। — ডেটা ইন্টেলিজেন্স প্ল্যাটফর্ম ‘অ্যাপটোপিয়া’র তথ্যের বরাত দিয়ে বলছে ওয়াশিংটন পোস্ট।
কেবল অ্যাপটোপিয়া নয়, রাশিয়ার টেলিকম অপারেটররাও একই প্রবণতার কথা নিশ্চিত করেছে।
রাশিয়ার মোবাইল ব্রডব্যান্ড প্রতিষ্ঠান ‘ইয়োটা’ জানিয়েছে, এপ্রিলের শুরুতে দেশটিতে ভিপিএন ব্যবহারকারীর সংখ্যা জানুয়ারির তুলনায় বেড়েছে ৫০ গুণ।
এ ছাড়া, নিজস্ব ভিপিএন সেবা চালু করেছে ‘ইন্টারনেট প্রোটেকশন সোসাইটি’। সেবাটিতে মাত্র ১০ দিনে তিন লাখ ব্যবহারকারী আনতে পেরেছে ডিজিটাল অধিকার-ভিত্তিক সংগঠনটি।
পুতিনের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যালেক্সাই নাভালনির সঙ্গে এই সংগঠনের সম্পর্ক রয়েছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকরেডার।
রাশিয়া সব সময়ই দেশটির ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে শক্ত হাতে নিয়ন্ত্রণ করেছে। তবে, আগ্রাসন শুরু হওয়ার পর থেকে পশ্চিমা গণমাধ্যম ও বিভিন্ন ব্রাউজিং ওয়েবসাইটের উপর দেশটির নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা আরও কঠোর হয়েছে।
দেশটিতে ফেইসবুক এবং ইনস্টাগ্রামের মতো সাইটগুলোও নিষিদ্ধ হয়েছে। সেখানে ইউটিউব নিষিদ্ধ হওয়াও এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
রাশিয়াকে যুদ্ধবিমুখ করতে এবং চাপ সৃষ্টিতে দেশটির উপর ব্যপক নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে পশ্চিমা দেশগুলো। এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে লেনদেন ব্যবস্থা ‘সুইফট’, যা দেশটি বেশিরভাগ ক্রেডিট কার্ডকে বর্তমানে বাতিল হিসেবে বিবেচনা করছে।
এই কারণে ভিপিএন কিনতেও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছেন ব্যবহারকারীরা। এর ফলে অনেকেই বিনামূল্যের ভিপিএন সেবা ব্যবহার করছেন যেগুলোর মান সন্তোষজনক নয়।
যারা এখনও সমাধান চাচ্ছেন, তারা কোনো নিরপেক্ষ দেশের বন্ধুদের বা ক্রিপ্টো মুদ্রার সাহায্যে ভিপিএন চালাচ্ছেন। কিছু কিছু ভিপিএন সেবাদাতা সরাসরি ক্রিপ্টোতে মূল্য গ্রহন করছে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে টেকরেডার।