গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত হয়ে কারও মৃত্যুর খবর আসেনি। ফলে এ নিয়ে টানা ২০ দিন কোভিডে মৃত্যুহীন কাটাল
বাংলাদেশে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,
এক দিনে ৭ হাজার ৪৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে এই ২৬ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
তাদের মধ্যে ১২ জন ঢাকার,
একজন চট্টগ্রাম, তিনজন কুমিল্লা, দুইজন বগুড়া, একজন রংপুর, দুইজন খুলনা, দুইজন কুষ্টিয়া এবং তিনজন
সিলেট জেলার বাসিন্দা।
নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে
দৈনিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৫৪ শতাংশ, যা আগের দিন শূন্য দশমিক ৪০ শতাংশ
ছিল।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে,
নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৮৫৫ জন। মৃত্যুর
মোট সংখ্যা আগের মতই ২৯ হাজার ১২৭ জন রয়েছে।
করোনাভাইরাস মহামারীর শুরুর
দিকে ২০২০ সালের ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর কথা জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে একটানা
২০ দিন কখনোই মৃত্যুহীন ছিল না।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাস
থেকে সুস্থ হয়ে উঠেছে ২৬৫ জন। তাদের নিয়ে ১৮ লাখ ৯৮ হাজার ৬৩ সুস্থ হয়ে উঠলেন।
এই হিসাবে দেশে এখন সক্রিয়
রোগীর সংখ্যা ২৫ হাজার ৬৬৫ জন। অর্থাৎ তারা কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার পর এখনও সুস্থ হননি।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক
শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৯২ শতাংশ। আর মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের
প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক
বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত
হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০
দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য
অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট ২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা
মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস
আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখ ৫৩ হাজারের বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে
আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫১ কোটি ৮০ লাখের বেশি।