মঙ্গলবার দুপুরে
শেরপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান আসামির
অনুপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) গোলাম কিবরিয়া বুলু
জানান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত
আসামি ফুরকান আলী (৩৫) উপজেলার কেল্লাকান্দি গ্রামের ময়দান আলীর ছেলে।
মামলার বরাত দিয়ে
আইনজীবী বলেন, ফুরকান ২০০৫ সালে উপজেলার বড় গেরামারা গ্রামের আব্দুল জব্বারের মেয়ে
জহুরা বেগমকে বিয়ে করেন। যৌতুকের দাবিতে ফুরকান প্রায়ই স্ত্রী মারধর করতেন। তাদের একটি
ছেলে রয়েছে।
২০১১ সালের ১ জুলাই
রাতে ফুরকান স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে এবং আত্মহত্যা
বলে প্রচার চালায়।
এ ঘটনায় নিহতের
ভাই ফজলুল হক বাদী হয়ে ফুরকানসহ পাঁচজনকে আসামি করে ৩ জুলাই মামলা করেন। ঘটনার পর থেকেই
আসামিরা পলাতক। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই জাকির হোসেন একই বছরের ২০ নভেম্বর আদালতে
অভিযোগপত্র দেন।
আইনজীবী বলেন, মামলায়
সাতজনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে। চারজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে। আসামিদের পক্ষে রাষ্ট্র নিয়োজিত
আইনজীবী ছিলেন সাখাওয়াত উল্লাহ তারা।