মঙ্গলবার দুপুরে বোর্ড
বাজারের মনির ট্রেডার্স ও মেসার্স আর পি ট্রেডার্সের গুদামে এ অভিযান চালান অধিদপ্তরের
গাজীপুরের সহকারী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আব্দুল জব্বার মন্ডল।
আব্দুল জব্বার মন্ডল
সাংবাদিকদের বলেন, অবৈধভাবে সয়াবিন তেল মজুতের মাধ্যমে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে এ দুই
ব্যবসায়ী। গোপন সংবাদ পেয়ে প্রথমে বোর্ডবাজারে মান্নান টাওয়ারে মেসার্স মনির জেনারেল
স্টোরে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
“দোকান মালিক তার গুদামে
এক লিটার, দুই লিটার ও পাঁচ লিটার বোতলে দুই হাজার ৫৮ লিটার সয়াবিন তেল অবৈধভাবে মজুত
করে রেখেছিলেন। এসব তেল ঈদের আগে কম দামে ক্রয় করে মজুদ করে রাখা হয়েছিল অতিরিক্ত মুনাফায়
বিক্রি করার উদ্দেশ্যে। বাজারে সংকট তৈরি করে দোকান মালিক বর্তমান বেশি মূল্যে বিক্রি
করছিলেন।”
এ কারণে দোকান মালিক
মনির হোসেনকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয় বলে জব্বার মন্ডল জানান।
তিনি আরও বলেন, পরে
পার্শ্ববর্তী মেসার্স আর পি ট্রেডার্স থেকে পাঁচ হাজার লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা
হয়। সরকার নির্ধারিত মূল্যের বেশি দামে তেল বিক্রি ও মূল্য তালিকা না থাকায় এ প্রতিষ্ঠান
থেকে এক লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এ দুই প্রতিষ্ঠানে
অধিদপ্তরের লোকজন দাঁড়িয়ে থেকে জব্দ করা সব তেল ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করেন বলে জব্বার
জানান।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ
অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, মেসার্স মনির জেনারেল স্টোরের গুদাম থেকে জব্দ করা সয়াবিন
প্রতি লিটার ১৬০ টাকা দরে, দুই লিটার ৩১৮ টাকা এবং পাঁচ লিটার ৭৬০ টাকা দরে জনসাধারণের
মধ্যে বিক্রির ব্যবস্থা করা হয়।
এ ছাড়া মেসার্স আরপি
ট্রেডার্সের তেলগুলো আগের কেনা দাম অর্থাৎ ১৪৩ টাকা দরে প্রতি লিটার বিক্রি করার নির্দেশ
দেওয়া হয়েছে।
ন্যায্য মূল্য তেল
বিক্রি হওয়ার সংবাদ পেয়ে বৃষ্টিতে ভিজেও বিভিন্ন এলাকার মানুষ কিনতে সিরিয়ালে দাড়িয়ে
এক একজনে ৫লিটার তেল নিতে দেখা গেছে।
ন্যায্য মূল্যের তেল
নিতে আসা করিমন নেছা সাংবাদিকদের বলেন, হঠাৎ এমন সংবাদ পেয়ে দৌড়ে লাইনে দাঁড়িয়েছি।
শেষমেশ ৫ লিটার তেল পেয়েছি। কয়েকটা দিন ভালোই যাবে।
অভিযানে গাজীপুর মেট্রোপলিটন
পুলিশ ও জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেন।