উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনয়নের চৌকিদার কান্দিতে মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জাজিরা থানার ওসি মিন্টু মণ্ডল জানান।
নিহত জবেদা বেগম (৪০) ওই উপজেলার সেনের চর ইউনিয়নের বয়াতী কান্দি গ্রামের বাচ্চু দেওয়ানের স্ত্রী।
নিহতের চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবির বলেন, চার বছর আগে পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের পারভেজ খালাসীর সঙ্গে সেনের চর ইউনিয়নের বয়াতী কান্দি গ্রামের বাচ্চু দেওয়ানের মেয়ে লিমা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর পারভেজ খালাসী যৌতুক চাইলে লিমার পরিবার পাঁচ লাখ টাকা দেয়। এপ্রিলে ঢাকার মগবাজারের আদ্ব দীন হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে তাদের ছেলের জন্ম হয়। এই অপারেশনের খরচ বাবদ প্রায় দুই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করতে নাওডোবা যান পাভেজ।
“এদিকে মঙ্গলবার সকালে জবেদা বেগম জামাতার বাড়িতে মেয়ে ও নাতনিকে দেখতে যান। সিজারের দাবি করা টাকা না নিয়ে যাওয়ায় কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে পারভেজ বাঁশ দিয়ে শাশুড়ির মাথায় আঘাত করেন।”
হুমায়ুন কবির বলেন, এ সময় জবেদা বেগম মাটিতে পড়ে গেলে পারভেজের মা মনজিলা বেগম ও বাবা ছালাম খালাসী মিলে তাকে পিটাতে থাকে। পরে স্থানীয়রা জবেদা বেগমকে উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরে স্থানীয়রাই পারভেজ ও তার মাকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বলে জানান হুমায়ুন।
এ বিষয়ে পারভেজের স্ত্রী লিমা বলেন, “এক মাস আগে আদ্ব দীন হাসপাতালে সিজারের মাধ্যমে আমার ছেলে হয়। চিকিৎসার খরচের জন্য আমার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরা দুই লাখ টাকা দাবিতে সকালে আটকিয়ে রেখে আমাকে মারধর করে। খবর পেয়ে আমার মা এলে তাকে তারা পিটিয়ে হত্যা করে। আমি এর বিচার চাই।”
এদিকে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে লাশ উদ্ধার করে বলে জানান ওসি মিন্টু।
তিনি বলেন, লাশের শরীরে একাধিক জখম পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।