মঙ্গলবার নগরীর
দারুল ফজল মার্কেটের দলীয় কার্যালয়ে নগর কমিটির কার্যকরী পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত
হয়। নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন।
নগর কমিটির
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুসারে
১৫টি থানায় যে সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে, তাদের নির্ধারিত এলাকা পরিদর্শন করে
খোঁজ নিতে বলা হয়েছে।
“ইতিমধ্যে যেসব ইউনিটের সম্মেলন
হয়েছে সেগুলোর বিষয়ে কোনো অভিযোগ থাকলে তা তারা সমাধানের চেষ্টা করবেন। তা না হলে
প্রতিবেদন নগর কমিটিকে দেবেন। যা নগর কমিটির মাধ্যমে কেন্দ্রে পাঠানো হবে। এজন্য
২৫ মে পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।”
নগর কমিটির অধীন
১২৯ টি ইউনিটের মধ্যে ৯৩টি ইউনিটের সম্মেলন সম্পন্ন হয়েছে জানিয়ে শফিকুল বলেন,
অবশিষ্ট ইউনিটগুলো ১১টি সাংগঠনিক ওয়ার্ডের অধীন। নগরীতে মোট সাংগঠনিক ওয়ার্ড ৪৩টি।
পাশাপাশি যেসব ইউনিটে কোনো অভিযোগ নেই সেগুলোতে সম্মেলনের প্রস্তুতি নিতে বলা
হয়েছে।
সমন্বয় কমিটির আহ্বায়ক
ও সদস্যদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড ও ইউনিটের সঙ্গে বসে প্রতিবেদন প্রস্তুত করতে নির্দেশ
দিয়েছে নগর কমিটি।
সভায় মাহতাব
উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, “পেছনের দরজা দিয়ে অসাংবিধানিক
উপায়ে ও সামরিক বিধি লঙ্ঘন করে সামরিক উর্দি পরা কিছু উচ্চাভিলাষী লোক ক্ষমতা দখল
করে তথাকথিক রাজনৈতিক দল গঠন করেছে এবং তারা দীর্ঘ একুশ বছর জাতির ঘাড়ে চেপে
বসেছিলো।
“দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে
সামনে রেখে দেশ বিরোধী চিহ্নিত মহলটি বহুমুখী ষড়যন্ত্রের জাল বুনছে। এই ষড়যন্ত্রের
জাল ছিন্ন করতে হবে। ষড়যন্ত্র করে ক্ষমতা দখল করাটা তাদের একমাত্র অভিষ্ট।”
সাধারণ সম্পাদক
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দেশকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত করেছেন। এই বিশাল অর্জনে ঈর্ষান্বিত একটি মহল।
তারা বিদেশে হাজার কোটি টাকায় লবিস্ট নিয়োগ করে সরকারের ভিত্তি আলগা করতে ধুম্রজাল
তৈরি করছে।
“৭১এর পরাজিত শক্তির প্রশ্রয় ও
আশ্রয় দাতা একমাত্র বিএনপি। এই বিএনপি’র মূল ভিত্তিই হলো জামাত। অসমাপ্ত মিশন সম্পন্ন করতে
তারা আবার সামনে এসেছে।”
সভায় নগর কমিটির
সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন,
জহিরুল আলম দোভাষ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম,
সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী,
হাসান মাহমুদ শমসের, শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী,
আহমেদুর রহমান ছিদ্দিকী, জহর লাল হাজারী উপস্থিত ছিলেন।