এই মাঠের সঙ্গে মুমিনুলের
সেই বন্ধনের কথা জানেন জেমি সিডন্সও। বাংলাদেশের ব্যাটিং কোচের আশা, শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে
সামনের টেস্টে জোড়া সেঞ্চুরি আসবে মুমিনুলের ব্যাট থেকে!
এমনিতে মুমিনুলের
ফর্মের যা অবস্থা, তাতে সিডন্সের এই কথা হাসির খোরাকই জাগাতে পারে বেশি। সবশেষ ৭ টেস্ট
ইনিংসে বাংলাদেশ অধিনায়কের সর্বোচ্চ ইনিংস ৩৭ রানের। সবশেষ ১২ ইনিংসে তার ফিফটি স্রেফ
একটি। এই ১২ ইনিংসের ৯টিতেই আউট হয়েছেন দু অঙ্ক ছোঁয়ার আগে।
মুমিনলের ফর্মের
অবস্থা ফুটে উঠছে সংখ্যাতেই। তবু তাকে নিয়ে বড় আশা করতে পারছেন সিডন্স। চট্টগ্রামে
মঙ্গলবার অনুশীলনে মুমিনুলের ব্যাটিং নিয়ে বেশ কিছুটা সময় কাজ করতে দেখা গেল ব্যাটিং
কোচকে। তবে সেই কাজ করার জন্য নয়, সিডন্স ভরসা রাখতে পারছেন খেলা চট্টগ্রামে বলেই।
“আমি ওকে বলেই যাচ্ছি, সে চট্টগ্রামে
৯টি সেঞ্চুরি করেছে (আসলে ৭টি) এবং এবার আরেকটি সুযোগ আরও গোটা দুই সেঞ্চুরি করার।
এই মাঠ সে ভালোবাসে। আমরা চেষ্টা করছি তাকে তৈরি করে তুলতে এবং সে দারুণ আত্মবিশ্বাসী।”
মুমিনুলের ১১ টেস্ট
সেঞ্চুরির ৭টিই এই জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে। তার ক্যারিয়ার ব্যাটিং গড় ৩৯.৪৮,
এই মাঠে সেই গড় ৬৬.৮৩।
শুধু এই মাঠ নয়,
মুমিনুল আত্মবিশ্বাসী হতে পারেন প্রতিপক্ষ দেখেও। যে ১০টি দেশের বিপক্ষে তিনি টেস্ট
খেলেছন, সবচেয়ে বেশি ব্যাটিং গড় শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই (৫৮.৯৩)। সবচেয়ে বেশি টেস্ট সেঞ্চুরি
করেছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষেই ৪টি। দেশের বাইরে তার একটিই টেস্ট সেঞ্চুরি, সেটিও শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষেই।
এই মাঠ আর এই প্রতিপক্ষের
আরেকটি মেলবন্ধনও তাকে উজ্জীবিত করতে পারে। ২০১৮ সালে এই মাঠে লঙ্কানদের বিপক্ষেই তিনি
করেছিলেন এক ম্যাচে জোড়া সেঞ্চুরি। এবার তার কাছ থেকে সেটিরই পুনরাবৃত্তি দেখতে চান
সিডন্স।
সমস্যা হলো, অতীত
পরিসংখ্যান যতটাই সমৃদ্ধ হোক, প্রতিটি ইনিংসের শুরুটা হয় শূন্য থেকেই। মুমিনুলের লড়াইটাও
তাই হবে নতুনই।