রয়টার্স জানিয়েছে, বুধবার ‘ফিন্যান্সিয়াল
টাইমস ফিউচার অব দ্য কার’ সম্মেলনে মাস্ক এ বিষয়ে কথা বলেন।
তবে এ ব্যাপারে টুইটারের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক
কোনো প্রতিক্রিয়া আসেনি। ট্রাম্পের কোনো মুখপাত্রও কিছু বলেননি।
নিজেকে ‘বাক স্বাধীনতার সবচেয়ে বড় সমর্থক’
দাবি করা মাস্ক সম্প্রতি ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের টুইটার কিনে নিতে একটি রফায় পৌঁছেছেন।
২০০৯ সালে এই মাইক্রো ব্লগিং সাইটে যোগ দেওয়া
মাস্ক নিজেও যথেষ্ট সক্রিয় একজন ব্যবহারকারী। বর্তমানে তার ফলোয়ার সংখ্যা আট কোটির
বেশি।
টেসলার অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে ভক্তদের আভাস
দেওয়া বা বিভিন্ন ধরনের ঘোষণার জন্য প্রায়ই তিনি টুইটারে পোস্ট দেন। তবে, সম্প্রতি
এ মাধ্যমের বিভিন্ন নীতির তীব্র সমালোচনাও করেছেন।
‘টুইটার বাক স্বাধীনতার নিয়ম মানতে ব্যর্থ
হয়েছে এবং এতে গণতন্ত্রের অবমূল্যায়ন হচ্ছে’- কিছুদিন আগে এমন এক টুইট করেন মাস্ক।
বছরের পর বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো
কীভাবে ক্ষমতাধর বিশ্ব নেতাদের অ্যাকাউন্টগুলো নিয়ন্ত্রণ করছে, তা নিয়েও সমালোচনা রয়েছে।
গত বছরের ৬ জানুয়ারি ট্রাম্প সমর্থকরা মার্কিন
ক্যাপিটলে হামলা চালানোর পর তাতে উসকানি দেওয়ার অভিযোগে ডনাল্ড ট্রাম্পকে টুইটারে স্থায়ীভাবে
নিষিদ্ধ করা হয়। ট্রাম্পের ওই অ্যাকাউন্টে ৮ কোটি ৮০ লাখ ফলোয়ার ছিল।
ট্রাম্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আগে ওই নিষেধাজ্ঞা
আরোপ করে টুইটার বলেছিল যুক্তরাষ্ট্রে ‘আরও সহিংসতার উসকানির ঝুঁকি’ এড়াতে তারা এ সিদ্ধান্ত
নিয়েছে।
তবে মাস্কের ভাষায়, ট্রাম্পের ওপর ওই নিষেধাজ্ঞা
আরোপ ছিল ‘নৈতিকভাবে ভুল এবং স্রেফ নির্বোধের মত কাজ’।
ট্রাম্প অবশ্য বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা উঠলেও
তিনি আপাতত আর টুইটারে ফিরছেন না; বরং নিজের বানানো নেটওয়ার্ক ‘ট্রুথ সোশাল’ নিয়েই
তিনি বেশি আগ্রহী।
ফক্স নিউজকে ট্রাম্প বলেছেন, “আমি টুইটারে
যাচ্ছি না। আমি ট্রুথেই থাকব।”
তবে, মাস্ক একজন ‘ভালো মানুষ’ এবং তিনি টুইটারকে
‘আরও উন্নত করবেন’ বলেই বিশ্বাস করেন সাবেক এই মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
মানবাধিকার সংগঠনগুলো অবশ্য এ বিষয়ে সন্দিহান।
টুইটারের ওপর মাস্কের একচ্ছত্র আধিপত্য বাকস্বাধীনতার নামে বিদ্বেষমূলক প্রচারের পথ
‘সুগম করবে’ বলেই তাদের অনেকের ধারণা।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলেছে, তারা
এমন টুইটার দেখতে চায় না, যেখানে ব্যবহারকারীদের প্রতি সহিংস এবং নিপীড়নমূলক আচরণ ইচ্ছে
করেই অগ্রাহ্য করা হয়।
আরও খবর: