ক্যাটাগরি

১০ হাজার নৌযানে বসছে শনাক্তকরণ যন্ত্র: রেজাউল

বুধবার রাজধানীর
মৎস্য ভবনে এক সভায় তিনি বলেন, “সমুদ্রে
মৎস্য নৌযান শনাক্তের জন্য ১০ হাজার নৌযানে শিগগিরই নতুন যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি সংযুক্ত
করা হচ্ছে।

“…এর মাধ্যমে অনুমতিপ্রাপ্ত
সমুদ্রগামী নৌযানসমূহের অবস্থান জানা যাবে এবং এদের সহজেই মনিটর করা যাবে। এ
নৌযানসমূহ আইনের ব্যত্যয় করলে লাইসেন্স বাতিল করাসহ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার
সুযোগ তৈরি হবে।”

সামুদ্রিক
জলসীমায় ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই মাছ ধরা বন্ধ রাখার লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত এ সভায় মন্ত্রী বলেন, “আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সমুদ্রে মৎস্য
আহরণ করা যাবে না। আইন অমান্য করলে সাম্প্রতিক সামুদ্রিক
মৎস্য আইন ও মোবাইল কোর্টের আইন অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

মৎস্য আহরণ বন্ধ
রাখা মানে দেশের মৎস্যসম্পদ বৃদ্ধি করা মন্তব্য করে তিনি বলেন,
“এক্ষেত্রে মৎস্য বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন ও
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি মৎস্যজীবী সমিতির সদস্যদের সরকারের নীতি
বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে হবে। মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ করা গেলে
মৎস্যজীবীদেরই লাভ হবে।“

মাঠ পর্যায়ে
মৎস্যজীবীদের তালিকা কঠোর নজরদারির মাধ্যমে হালনাগাদ করা হবে বলে জানান তিনি।

“প্রকৃত
মৎস্যজীবী ছাড়া সরকারি সহায়তা দেওয়া হবে না। মাছ ধরা নিষিদ্ধকালে সমুদ্রগামী
জেলেদের এ বছর পর্যাপ্ত ভিজিএফ দেওয়া হবে।”

আর সুন্দরবনের
মৎস্যসম্পদ ও জেলেদের বিষয়ে মৎস্য অধিদপ্তর ও বনবিভাগের সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়া
প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

সভায় আরও অংশ নেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, তৌফিকুল আরিফ
ও এস এম ফেরদৌস আলম, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের
চেয়ারম্যান হেমায়েত হুসেন, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খ.
মাহবুবুল হক ও নৌপুলিশের অতিরিক্ত আইজি শফিকুল ইসলাম।