লিডসের মাঠে বুধবার রাতে ৩-০ গোলে জিতেছে চেলসি। শেষ দিকে দলের তৃতীয় গোলটি করেন রোমেলু লুকাকু।
৩৬ ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে চেলসি। তাদের চেয়ে একটি ম্যাচ কম খেলা আর্সেনাল (৬৬) ও টটেনহ্যাম (৬২) যথাক্রমে আছে চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে।
চতুর্থ মিনিটের প্রথম আক্রমণ থেকেই কাঙ্ক্ষিত গোল তুলে নেয় চেলসি। রিচি জেমসের কাট ব্যাক থেকে ঠিক বক্সের ভেতর ঢুকেই ডান পায়ের দারুণ শটে জালে বল জড়িয়ে দেন মাউন্ট।
পিছিয়ে পড়া লিডস আরও বড় ধাক্কা খায় ২৪তম মিনিটে। মাতেও কোভাচিচকে বাজেভাবে ফাউল করে সরাসরি লালকার্ড দেখেন ড্যানিয়েল জেমস। শুরুতেই গোল পাওয়া এবং এরপর প্রতিপক্ষ দশ জনের দলে পরিণত হলেও প্রথমার্ধে ব্যবধান বাড়িয়ে নিতে পারেনি চেলসি।
৩১তম মিনিটে মাউন্টের থ্রু বল ধরে জাল খুঁজে নিয়েছিলেন লুকাকু। কিন্তু ভিএআরে ধরা পড়ে বেলজিয়ামের এই ফরোয়ার্ড ছিলেন অফসাইডে। তিন মিনিট পর রিচির ক্রসে লুকাকুর হেড অল্পের জন্য হয় লক্ষ্যভ্রষ্ট।
৫৫তম মিনিটে মাউন্টের ব্যাক হিল ফ্লিক প্রথম ছোঁয়ায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন পুলিসিক। গোলরক্ষক প্রতিরোধের কোনো সুযোগই পাননি।
আগের ম্যাচে উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্সের মাঠে শৃঙ্খলার অভাবে পয়েন্ট হারানো স্বীকারোক্তি দেওয়া চেলসি কোচ টমাস টুখেলের মুখে ফুটে ওঠে ব্যবধান দ্বিগুণের তৃপ্তি।
৮৩তম মিনিটে লুকাকুর গোলে জয় প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায় চেলসির। মাঝমাঠে লিডস বল হারানোর পর এক সতীর্থের পা হয়ে পেয়ে যান হাকিম জিয়াশ। তার আড়াআড়ি ক্রস ধরে বক্সে ডিফেন্ডারদের কড়া চ্যালেঞ্জে তালগোল পাকিয়ে সুযোগ নষ্ট করতে বসেছিলেন লুকাকু। শেষ পর্যন্ত অবশ্য লক্ষ্যভেদ করতে সক্ষম হন বেলজিয়ান ফরোয়ার্ড।
চলতি লিগে এটি চেলসির ২০তম জয়, অন্যদিকে ১৮তম হারের তেতো স্বাদ পাওয়া লিডস ৩৬ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট নিয়ে আছে অবনমন অঞ্চলে।