অধিপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফয়েজ উল্যাহ জানান, বৃহস্পতিবার সকালে বিসমিল্লাহ স্টোর নামের ওই দোকানে অভিযান চালিয়ে দেড় হাজার লিটার সয়াবিন তেল পেয়েছেন তারা।
“এর মধ্যে ৫০০ লিটার তেল পাওয়া গেছে বোতলজাত অবস্থায়। দোকানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করে সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।”
বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে মো. ফয়েজ উল্যাহ বলেন, বোতলের সয়াবিন তেল বের করে খোলা তেল হিসেবে বিক্রি হচ্ছিল বিসমিল্লাহ স্টোরে।
“অভিযানের সময় দেখা যায়, আগে কেনা বোতলজাত তেলের গায়ে দাম লেখা আছে ৭৬০ টাকা। এসব বোতল খুলে খোলা সয়াবিন তেল হিসেবে প্রতি লিটার ১৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছিল। এতে ৫ লিটার তেলের দাম হয় ৯০০ টাকা।”
ভোজ্য তেলের দামে অস্থিরতার মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে দেশের বিভিন্ন স্থানের মত বন্দরনগরীর বিভিন্ন বাজারেও অভিযান চালাচ্ছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার নগরীর কর্নেল হাট বাজারে আগের মজুদ করা খোলা সয়াবিন তেল নতুন দামে বিক্রি করায় দুই দোকানকে মোট ৮০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এর আগে সোমবার পাহাড়তলী বাজারে সিরাজ স্টোরের গুদামে ১৫ হাজার লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়ায় ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করে অধিদপ্তর।
রোববার নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকার কর্ণফুলী মার্কেটের মুদি দোকান খাজা স্টোরের গুদাম থেকে ভোক্তা অধিদপ্তর ১ হাজার ৫০ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়।
তার আগের দিন শনিবার রাতে ফটিকছড়িতে এক মুদি দোকানির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৩২৮ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল উদ্ধার করে স্থানীয় প্রশাসন।