ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন অফ সিকিউরিটিজ
কমিশন (আইওএসসিও)-এর প্রধান অ্যাশলি অল্ডার বলছেন, বিটকয়েনের মতো ডিজিটাল মুদ্রাগুলোর
ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কর্তৃপক্ষ যে তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দিচ্ছে তার মধ্যে একটি। বাকি
দুটি বিষয় হচ্ছে কোভিড মহামারী এবং জলবায়ু পরিবর্তন।
“আমাদের যে ঝুঁকির মোকাবেলা করতে হচ্ছে,
আপনি যদি সেগুলোর দিকে তাকান, তবে দেখবেন যে ঝুঁকি একাধিক এবং প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ের
আলোচনাগুলোর মধ্যে ক্রিপ্টো মুদ্রা ব্যবস্থা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।” – বৃহস্পতিবার এক অনলাইন
সম্মেলনে বলেন অল্ডার।
ওই ভার্চুয়াল সম্মেলনে নিজের বক্তব্যে
অল্ডার ক্রিপ্টো মুদ্রা ব্যবস্থার মূল ঝুঁকিগুলো চিহ্নিত করেছেন বলে প্রতিবেদনে জানিয়েছে
রয়টার্স। তার মতে, সাইবার নিরাপত্তা, স্বচ্ছতার অভাব এবং কর্মকাণ্ড কতোটা টেকসই– এই
বিষয়গুলো নিয়েই শঙ্কিত বাজার নিয়ন্ত্রকরা।
সর্বশেষ মে মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে ক্রিপ্টো
মুদ্রা বাজারের অস্থিতিশীলতা আবারও মূলধারার বাজার নিয়ন্ত্রকদের নজর কেড়েছে বলে জানিয়েছে
রয়টার্স।
ইতোমধ্যেই ভেঙে পড়েছে স্টেবলকয়েন ‘টেরাইউএসডি’র
লেনদেন ব্যবস্থা। মূলধারার মুদ্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মূল্যায়িত ডিজিটাল মুদ্রাগুলোই
স্টেবলকয়েন নামে পরিচিত। ‘টেরাইউএসডি’র লেনদেন ব্যবস্থা ভেঙে পড়ার পর মার্কিন আইপ্রণেতাদের
ক্রিপ্টো নীতিমালা আরও কঠোর করার আহ্বান জানিয়েছেন সিনেট ব্যাংকিং কমিটির চেয়ারম্যান।
অন্যদিকে, চলতি সপ্তাহেই বিটকয়েনের দাম
পড়েছে প্রায় ২০ শতাংশ।
অল্ডারের মতে, ক্রিপ্টো লেনদেনের নিয়মনীতি
একিভূত করার জন্য একটি আন্তর্জাতিক সংস্থা এখন “অতিজরুরী”। এক্ষেত্রে জলবায়ু পরিবর্তন
মোকাবেলায় নির্মিত কাঠামোর আদলে ক্রিপ্টো মুদ্রা বিষয়ক সংস্থাটি গঠন করা হতে পারে বলে
জানিয়েছেন তিনি।
“এই মুহুর্তে ক্রিপ্টোর জন্য এমন কিছু
নেই,” বলে মন্তব্য করেছেন আইওএসসিও-র পাশাপাশি হংকংয়ের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ফিউচার কমিশনের
প্রধান নির্বাহীর দায়িত্বে থাকা অল্ডার।