প্রধান ফটকের সামনের
অংশ, টিএসসির সামনে-পিছনের রাস্তা, নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনের রাস্তা, বটতলা এলাকার
রাস্তায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়।
তাছাড়া ক্যাম্পাসের
ভিতরে ছোটখাটো বিভিন্ন জায়গায়ও পানি জমে থাকে।
টিএসসি-বটতলায় প্রতিদিন
হাজারো শিক্ষার্থীর সমাগম ঘটে। প্রধান ফটকেও তাই। বৃষ্টি এলেই সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে
হাঁটু পানি জমে –নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই।

টানা বৃষ্টিতে পানি জমেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে। হাঁটু সমান এই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেই।
ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের
অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক জেবউননেছা বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বৃষ্টি আসলে
টিএসসির রাস্তায় পানি জমে বা মুক্তমঞ্চে পানি লেগে থাকে; এই সমস্যা থেকে কীভাবে সমাধান
পাওয়া যায় সে বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলব। বৃষ্টির পানিকে
কাদা না করে এই পানিকে কীভাবে নান্দনিক করা যায় সেই ব্যবস্থা করব।”
বটতলা এলাকায় ক্যাম্পাসের
অধিকাংশ খাবারের দোকান রয়েছে। সেখানের দোকানিদের ভাষ্য, জলাবদ্ধতায় তাদের যেমন ভোগান্তি
শিক্ষার্থীদেরও তাই।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিকতা
ও গণমাধ্যম অধ্যয়ন বিভাগের শিক্ষার্থী নূর নবী সোহাগ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন,
“ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় জলাবদ্ধতায় আমরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছি। বটতলায়
খেতে যেতে অসুবিধা হয়, টিএসসিতে বিভিন্ন কারণে যেতে হয়; দেখা যায় জুতা না ভিজিয়ে যাওয়া
সম্ভব হয় না। রাস্তা ভাঙা না থাকার পরও কেন এই জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়, নিষ্কাশনের ব্যবস্থা
কেন হয় না তা কর্তৃপক্ষের দেখা উচিত।”

বৃষ্টি হলেই পানি জমছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনের সড়কে। ফলে বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
আরেক শিক্ষার্থী নগর
ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের আদনান করিম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের
প্রধান ফটক কিংবা বটতলা এলাকার জলাবদ্ধতা দীর্ঘদিনের সমস্যা; অন্যান্য সমস্যা তো রয়েছে।
বর্ষাকালে এই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে যায়। এতে আমাদের চলাচলে ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এজন্য
দরকার স্থায়ী এবং পরিকল্পিত পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা।”
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক
জায়গায় দেখা যায় পিচ ঢালা রাস্তায় ভাঙা থাকলে ওই ভাঙা জায়গাটুকুতে সিমেন্টের ঢালাই
দিয়ে দেওয়া হয়। এতে করে রাস্তা উঁচু-নিচু হয়ে থাকে এবং জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এমন সমস্যা
বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক জায়গায়ই রয়েছে।
এ ব্যাপারে উপাচার্য
অধ্যাপক নূরুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এই কাজে জড়িত ইঞ্জিনিয়ারদের
সাথে কথা বলব। এই সমস্যাগুলো যেন ওনারা অতি শিগ্রই সমাধান করে ফেলেন। যাতে কাউকে ভোগান্তিতে
পড়তে না হয়।”