ক্যাটাগরি

নাইজেরিয়ায় ধর্মাবমাননার অভিযোগে ছাত্রীকে মারধর, পুড়িয়ে হত্যা

নাইজেরিয়ার উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সোকোটো রাজ্যে বৃহস্পতিবারের এ ঘটনার পর অবিলম্বে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হত্যায় জড়িত সন্দেহে দুইজনকে গ্রেপ্তারও হয়েছে।

নিহত ছাত্রীর নাম ডেবোরাহ স্যামুয়েল বলে জানিয়েছেন সোকোটো রাজ্য কমান্ডের মুখপাত্র। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ ব্যাপারে মন্তব্যের জন্য তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেনি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, “কলেজের শিক্ষার্থীরা একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ব্যবহার করে। সেখানে এক মুসলিম শিক্ষার্থী একটি ইসলামিক পোস্ট দেওয়ার পর ওই ছাত্রী (ডেবোরাহ) সেটির সমালোচনা করেছিলেন।”

“তিনি একটি অডিও তৈরি করে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে পোস্ট করেন। সেটিতে নবী মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে ধর্মাবমাননাকর মন্তব্য ছিল। সেখান থেকেই সব গন্ডগোলের সূত্রপাত।”

নাইজেরিয়ার দক্ষিণ এবং উত্তরাঞ্চল মূলত খ্রিস্টান এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভক্ত। দেশটির দক্ষিণাঞ্চল খ্রিস্টান অধুষ্যিত এবং উত্তরাঞ্চল মুসলিম অধুষ্যিত।

পুলিশের মুখপাত্র সানুসি আবু বকর এক বিবৃতিতে বলেছেন, শিক্ষার্থীরা কলেজ কর্তৃপক্ষের নিরাপত্তা কক্ষে লুকিয়ে থাকা ছাত্রীকে জোর করে বের করে নিয়ে গিয়ে হত্যা করে এবং ভবন জ্বালিয়ে দেয়।

কলেজের নিরাপত্তা কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ তাকে উদ্ধার করার চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীদের রোষের মুখে তা করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

“পুলিশ শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারগ্যাস ছুড়েছে। তাদেরকে ছত্রভঙ্গ করতে ফাঁকা গুলিও ছুড়েছে…কিন্তু তাতেও তাদেরকে দমানো যায়নি,” বলে জানিয়েছেন স্কুলটির দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী।

তিনি জানান, শিক্ষার্থীরা ‍পুলিশের দিকে ছড়ি, পাথর ছুড়ে মারতে থাকলে তারা ডেবোরাহ স্যামুয়েলকে ফেলে রেখে যায়। এরপর শিক্ষার্থীরা ডেবোরাহর ওপর পাথর এবং ছড়ি নিয়ে চড়াও হয়। তাকে মারধর করার পর ধরানো হয় আগুন।

সোকোটো রাজ্যের ‘শেহু সাগারি কলেজ অব এডুকেশন’ এক বিবৃতিতে বলেছে, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় কলেজ অবিলম্বে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।