সেই সঙ্গে সেখানে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতকেও
আচরণবিধি লঙ্ঘনের জন্য সতর্ক করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ইসির যুগ্ম সচিব এস এম
আসাদুজ্জামান।
আগামী ১৫ জুন অনুষ্ঠেয় কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের
প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে লড়ছেন রিফাত। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বর্তমান
মেয়র বিএনপির মনিরুল হক সাক্কু এবার স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন।
আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর গত শনিবার ঢাকা থেকে এলাকায়
ফিরে রিফাত কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে নেতা-কর্মীদের সঙ্গে
শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। সেখানে কয়েকশ’ নেতা-কর্মী
উপস্থিতিতে সমাবেশও হয়।
সেই সমাবেশে ছিলেন কুমিল্লা-৬ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর
আওয়ামী লীগের সভাপতি বাহার।
নির্বাচনী আচরণবিধি অনুযায়ী, প্রার্থীরা প্রচার শুরু করতে পারে প্রতীক
বরাদ্দের পরে। এর আগে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ। আর স্থানীয় নির্বাচনের
প্রচারে সংসদ সদস্যদের অংশ নেওয়ায়ও মানা রয়েছে।
কুমিল্লার নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী, মঙ্গলবার মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার
শেষ দিন। এরপর প্রতীক বরাদ্দ হবে ২৭ মে।
ফলে ওই সময়ের আগে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর মিছিল ও সমাবেশের ভিডিও সোশাল
মিডিয়ায় দেখে তার তদন্ত করে ইসি।
ইসির জনসংযোগ বিভাগের পরিচালক আসাদুজ্জামান বলেন, “তদন্ত
প্রতিবেদনের বিষয়ে সোমবার কমিশনে আলোচনা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী কুমিল্লা
সিটি কর্পোরেশন উপলক্ষে উল্লিখিত মিছিল ও সভা সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ)
বিধিমালা, ২০১৬ এর পরিপন্থি।
“এ কার্যক্রম আচরণ বিধি পরিপন্থি হলেও
অনিচ্ছাকৃতভাবে সংঘটন ও প্রথমবারেরর মতো হওয়ায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা্ দায়ের
না করে পরবর্তীতে পূনরাবৃত্তি রোধকল্পে আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাতকে
সতর্ক করা হয়েছে। একই সঙ্গে আগামীতে আচরণবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে কুমিল্লা-৬
আসনের সংসদ সদস্যকে চিঠি দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।”
ইসির পক্ষে ওই নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা এই চিঠি দেবেন সংসদ
সদস্যকে। রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রার্থী রিফাতকে ‘মৌখিকভাবে
সতর্ক’ করেছেন বলেও জানান আসাদুজ্জামান।
ইসির পদক্ষেপের বিষয়ে সংসদ সদস্য বাহার, প্রার্থী রিফাতের কোনো
প্রতিক্রিয়া তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।