সোমবার সকালে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের কাছে পরিষদের সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি
দল সাক্ষাৎ করে এসব দাবি তুলে ধরেন।
তারা নির্বাচনে অধিক সংখ্যক নারীদের অংশ নেওয়ার পরিবেশ তৈরি করতে যথাযথ ব্যবস্থা
নেওয়া এবং নির্বাচনী প্রচারণায় নারী প্রার্থীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার দিকে বিশেষ নজর
রাখার দাবিও জানান।
লিখিত দাবির বিষয়ে নির্বাচন কমিশনারের কাছেও অনুলিপি দেওয়া হয়েছে বলে সংবাদ
বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে মহিলা পরিষদ।
এতে জানানো হয়, দাবির বিষয়ে ইসির যতটুকু করার ক্ষমতা রয়েছে,
ততটুকু করার বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন সিইসি।
অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে
>> রাজনৈতিক দলগুলো থেকে যাতে অধিক সংখ্যক নারীদের মনোনয়ন দেওয়া হয়,
সে বিষয়ে দৃষ্টি রাখতে হবে।
>> নির্বাচনে সাধারণ, সংখ্যালঘু ও প্রান্তিক নারীরা যাতে অবাধে নিজের
মতামতের ভিত্তিতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সেই পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে। ভোটকেন্দ্রে
বুথের সংখ্যা বাড়াতে হবে এবং ভোটকেন্দ্রের পরিবেশ নারীবান্ধব করতে হবে।
>> বৃদ্ধ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা যাতে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন, সেজন্য
বিশেষ ব্যবস্থা করতে হবে।
>> মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী, নারী উন্নয়ন বিরোধী, সাম্প্রদায়িক, সন্ত্রাসী
ও সমাজ বিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত, মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, দুর্নীতিবাজ প্রার্থী যাতে
কোনভাবেই মনোনয়ন না পায়, সেজন্য যথাযথ পদক্ষেপ প্রহণ করতে হবে।
>> নির্বাচনকালীন সময়ে নারী ভোটারা যাতে নিরাপদে, নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার
প্রয়োগ করতে পারেন সেজন্য বুথের সংখ্যা বাড়াতে হবে।
>> নির্বাচনের পূর্বে, নির্বাচনকালীন সময়ে এবং পরবর্তী সময়ে সংখ্যালঘু
সম্প্রদায়ের জনগণের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে।
সোমবার সিইসির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় প্রতিনিধি দলে ছিলেন মহিলা পরিষদের সভাপতি
ফওজিয়া মোসলেম, সহ সভাপতি মাখদুমা নার্গিস ও রেখা চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু,
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সীমা মোসলেম ও মাসুদা রেহানা বেগম এবং অ্যাডভোকেসি ও লবি পরিচালক
জনা গোস্বামী।