স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত ৯ থেকে ১৫ মে দেশে করোনাভাইরাসে
আক্রান্ত ২১৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে, আগের সপ্তাহে এই সংখ্যা ছিল ৮৩ জন। অর্থাৎ
শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ১৫৬ দশমিক ৬ শতাংশ।
গত সপ্তাহে করোনাভাইরাসে কারও মৃত্যু হয়নি। এর আগের দুই সপ্তাহেও
কোভিডে মৃত্যু ছিল শূন্য।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, সোমবার সকাল পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার
৭৯০টি নমুনা পরীক্ষা করে আরও ৩৭ জনের কোভিড শনাক্ত হয়েছে।
তাতে নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে শূন্য দশমিক ৭৭
শতাংশ। আগের দিন এই হার শূন্য দশমিক ৮৬ শতাংশ ছিল।
নতুন রোগীদের নিয়ে মহামারীর মধ্যে এ পর্যন্ত শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে
১৯ লাখ ৫৩ হাজার ৪৯ জন হয়েছে। নতুন কারও মৃত্যু না হওয়ায় মৃতের সংখ্যা আগের মতই ২৯
হাজার ১২৭ জন আছে।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন আরও ২২০ জন। তাদের নিয়ে এ
পর্যন্ত ১৮ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৯ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
গত এক দিনে শনাক্ত ৩৭ জন নতুন রোগীর মধ্যে ২৬ জন ঢাকা মহানগর ও জেলার
বাসিন্দা। এছাড়া গোপালগঞ্জে একজন, নারায়ণগঞ্জে একজন, জামালপুরে একজন, চট্টগ্রামে দুইজন,
কক্সবাজারে একজন, দিনাজপুরে একজন, সিলেটে চারজন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে।
মহামারীর মধ্যে সার্বিক শনাক্তের হার দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ৯০ শতাংশ। আর
মৃত্যুর হার ১ দশমিক ৪৯ শতাংশ।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়েছিল ২০২০ সালের ৮
মার্চ। ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ব্যাপক বিস্তারের মধ্যে গত বছরের ২৮ জুলাই দেশে
রেকর্ড ১৬ হাজার ২৩০ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়।
প্রথম রোগী শনাক্তের ১০ দিন পর ২০২০ সালের ১৮ মার্চ দেশে প্রথম
মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ২০২১ সালের ৫ অগাস্ট ও ১০ অগাস্ট
২৬৪ জন করে মৃত্যুর খবর আসে, যা মহামারীর মধ্যে এক দিনের সর্বোচ্চ সংখ্যা।
বিশ্বে করোনাভাইরাস আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত মারা গেছে ৬২ লাখ ৬৪ হাজারের
বেশি মানুষ। বিশ্বজুড়ে আক্রান্ত ছাড়িয়েছে ৫২ কোটি ১৫ লাখের বেশি।