যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, সোমবার সকালে চাঁনপাড়া গ্রাম থেকে নুরুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।
নুরুলের ছেলে ১৩ বছর বয়সী রুহুল আমীনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
রুহুলের মামা মনিরুজ্জামান বলেন, তার মাদকসেবী ভগ্নিপতি রোববার রাত ১১টার দিকে ভাগ্নে রুহুলকে ঘরের ভেতর বৈদ্যুতিক শক দিয়ে ও গলাটিপে হত্যা করে। এরপর রুহুলের মাথায় টুপি পরিয়ে ঘরে বিছনায় শুইয়ে রাখে। এরপর চাঁনপাড়া হাফেজী মাদ্রাসায় পড়ুয়া ছোট ছেলে আলামিনকে হত্যা জন্য রাতে মাদ্রাসায় যায় সে।
সেখানে মাদ্রাসার সুপার জাহিদুল ইসলামকে জানায় যে, বড় ছেলেকে মেরে ফেলেছে; ছোট ছেলেকেও মেরে ফেলবে। এ কথা শুনে জাহিদুল আলামিনকে দিতে অস্বীকৃতি জানান। তখন নুরুল মাদ্রাসা থেকে বেড়িয়ে বাড়ি ফিরে আসেন এবং ঘরের ভেতরে মৃত রুহুলকে তালাবদ্ধ করে রেখে সামনে ধারাল দা হাতে করে বসে থাকে।
মনিরুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ভাগ্নেকে উদ্ধার করার জন্য ভোরে তিনি নুরুলের বাড়ি যান। এ সময় নুরুল তাকেও মারধর করে। কেউ ঘরে ঢুকলে তাকে খুন করা হবে বলে হুমকি দেয়।
পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার এবং নুরুলকে আটক করে বলে জানান তিনি।