ক্যাটাগরি

ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে রহস্য রেখে দিলেন এমবাপে

এমবাপের ভবিষ্যৎ ঘিরে গুঞ্জন চলছে দীর্ঘ সময় ধরে। গত মৌসুমের শেষে তো তাকে পেতে উঠেপড়ে লেগেছিল রিয়াল। ফ্রান্সের বিশ্বকাপ জয়ী ফরোয়ার্ডও শৈশবের প্রিয় ক্লাবে যেতে উন্মুখ ছিলেন। কিন্তু পিএসজি তাকে ছাড়তে ছিল নারাজ। মাদ্রিদের দলটি রেকর্ড ট্রান্সফার ফি দিতে প্রস্তুত থাকলেও মন বদলায়নি পিএসজি কর্মকর্তদের।

এ বছরের প্রথম দিন থেকে এমবাপে হয়ে গেছেন ফ্রি এজেন্ট। চাইলে তখন থেকেই যেকোনো ক্লাবের সঙ্গে চুক্তি সেরে ফেলতে পারতেন তিনি। জার্মান সংবাদমাধ্যম বিল্ড অবশ্য তাদের জানুয়ারির প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, ওই মাসেই রিয়ালের সঙ্গে চুক্তি হয়ে গেছে তার। আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতেই কেবল বাকি।

তবে পরের মাসে এমবাপে নিজেই জানান, সেসব উড়ো খবর ভিত্তিহীন। নিশ্চিত কোনো সিদ্ধান্ত নেননি তিনি। এপ্রিলের শুরুতে এসে তার মন বদলের আভাস দেয় ফরাসি গণমাধ্যমগুলো। ২৩ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড নিজেও বলেন, প্যারিসে বেশ ভালো আছেন তিনি। এখানে থেকে যাওয়ার সম্ভাবনার কথাও বলেন।

এরপর তার ভবিষ্যৎ ঘিরে কিছুদিন থেমে ছিল গুঞ্জন। চলতি মাসে শুরুতে আবারও আসতে থাকে নতুন নতুন খবর। সম্প্রতি স্পেনের কয়েকটি গণমাধ্যমে বলা হয়, রিয়ালের পক্ষ থেকে নাকি বলা হচ্ছে, চুক্তি হয়ে গেছে, আসছেন এমবাপে। আগামী ২১ মে লিগ ওয়ানে মৌসুমের শেষ ম্যাচ খেলবে পিএসজি। এরপরই তিনি ঘোষণাটা দেবেন বলেও খবর।

ফ্রান্সের শীর্ষ লিগে এরই মধ্যে আসরে তিনবার সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জিতেছেন এমবাপে। এবারও এখন পর্যন্ত ২৫ গোল করে আছেন তালিকার চূড়ায়। অল্প বয়সে তারকাখ্যতি পেয়ে যাওয়া এই ফরোয়ার্ড লিগ ওয়ানে জিতেছেন আরও অনেক পুরস্কার; তিনবার সেরা উদীয়মান ফুটবলার হওয়ার পর গত দুই মৌসুমে জেতেন আসরের সেরা খেলোয়াড়ের খেতাব।

সেই ধারাবাহিকতায় এবার হলেন টানা তৃতীয়বারের মতো আসরের সেরা খেলোয়াড়। রোববার পুরস্কারটি হাতে নিয়েই নিজের ভবিষ্যৎ প্রসঙ্গে কথা বললেন এমবাপে।

“খুব শিগগিরই আমরা জানতে পারব। প্রায় হয়ে গেছে। আমার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়ে গেছে, হ্যাঁ, প্রায় শেষ।”

“আমার মনে হয়, আরও দায়িত্ব নেওয়ার এটাই আমার সঠিক সময়। হয়তো আমি প্যারিসে খুশিই থাকব, হয়তো অন্য কোথাও নতুন কোনো ঠিকানায় নতুন কোনো অভিযানে।”

অনায়াসে লিগ শিরোপা পুনরুদ্ধার করলেও মৌসুমটা তাদের মোটেও ভালো কাটেনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ ষোলোয় দুই লেগ মিলিয়ে অনেকটা এগিয়ে থেকেও রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে পথ হারিয়ে ছিটকে যায় তারা। ফরাসি কাপেও শেষ ষোলো থেকে বিদায় নেয় মাওরিসিও পচেত্তিনোর দলটি।

তারকায় ঠাসা স্কোয়াড নিয়েও অধারাবাহিক ও বাজে পারফরম্যান্সে নিজেদের সমর্থকদেরও সমালোচনার মুখে পড়ে পিএসজি দল। বিশেষ করে নেইমার ও লিওনেল মেসি ঘরের মাঠে দুয়ো শোনাটা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

এত এত নেতিবাচক খবরের মাঝেও এমবাপে ছিলেন উজ্জ্বল। গোল করা ও করানোর মাঝেও যা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এবারের লিগ ওয়ানে কেবল গোল করাই নয়, অ্যাসিস্টও সবচেয়ে বেশি এমবাপের; সতীর্থদের দিয়ে ১৭টি গোল করিয়েছেন তিনি।