রোববার সকাল থেকে
বিকাল পর্যন্ত দাউদকান্দি উপজেলার সৈয়দপুর থেকে গৌরীপুর পর্যন্ত প্রায় চার
কিলোমিটার এলাকাজুড়ে এ যানজট সৃষ্টি হয়।
রোববার সকাল থেকে
মহাসড়কের সংস্কার কাজ চলার সময় চার লেনের মধ্যে দুই লেনে যান চলে। বিকাল ৫টায় কাজ
বন্ধ হওয়ার পর যান চলাচল শুরু হলেও চলছিল ধীরগতিতে।
চালক ও যাত্রীদের
সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকাল থেকে দাউদকান্দির হাসানপুর এলাকায় মহাসড়কের সংস্কার
কাজ শুরু হয়। এ সময় যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেট কার, অ্যাম্বুলেন্স, মাইক্রোবাস,
ট্রাকসহ বিভিন্ন যানবাহন চার লেনের পরিবর্তে দুই লেনে চলাচল এবং চালকদের এলোপাতাড়ি
চলাচলের কারণে সড়কে যানজট দেখা দেয়। সকালে শুরু হওয়া এই যানজট বেলা বাড়ার সঙ্গে
সঙ্গে আরও বেড়ে যায়।
দিনভর যানজটে আটকে
থেকে গরমের মধ্যে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যানবাহনের চালক ও যাত্রীদের।
সন্ধ্যায়
দাউদকান্দি হাইওয়ে থানার ওসি মো. জহুরুল হক বলেন, সংস্কার কাজের জন্য মহাসড়কে
কিছুটা যানজট ও গাড়ি চলাচলে ধীরগতি সৃষ্টি হয়েছিল। তবে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে
হাইওয়ে পুলিশ সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করেছে।
বিকাল ৫টার দিকে
সংস্কার কাজ বন্ধ হয়ে যায়; এরপর থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয় বলে তিনি জানান।
সড়ক ও জনপথ
বিভাগের (সওজ) কুমিল্লার নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, “ঈদের পর পুনরায়
মহাসড়কের সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি যান চলাচল স্বাভাবিক রেখে
সংস্কার কাজ চালিয়ে যেতে।”
কুমিল্লা থেকে
ঢাকাগামী রয়েল কোচের যাত্রী নাসির উদ্দিন বলেন, সংস্কার কাজ বন্ধ থাকায় ঈদের সময়
মহাসড়কের কুমিল্লা অংশে যানজট ছিল না। ঈদের পর সংস্কার কাজ শুরুর প্রথম দিনেই
যাত্রীদের দীর্ঘক্ষণ যানজটে আটকে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে। ১০ মিনিটের পর পার
হতে এক ঘণ্টার বেশি লেগেছে।
বাস চালক
মাইনউদ্দিন বলেন, চার লেনের যানবাহন দুই লেনে চলাচল করায় এবং দূরপাল্লার বাস ও
ভিআইপিদের গাড়িগুলো লাইন ভেঙে আগে যাওয়ার চেষ্টা করায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করে।
“গরমের মধ্যে
শহীদনগর এলাকায় এক ঘণ্টার বেশি জ্যামে আটকে ছিলাম। দিনভর যাত্রী ও চালকরা চরম
ভোগান্তিতে ছিল জ্যাম নিয়ে।”