গ্রেপ্তাররা হলেন- মো. আবু নোমান (২৮) ও সোহেল রানা (৩৭)। শনিবার রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।
রোববার দুপুরে কারওয়ান বাজারে এক সংবাদ সম্মেলনে আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, গ্রেপ্তাররা দীর্ঘদিন ধরে ‘অবৈধভাবে’ জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার বিক্রি করে আসছিল।
নোমানের ‘আইটি স্টল.কম.বিডি নামে’ ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেইজ রয়েছে। আর সোহেল রানা ‘সোআইএম বিডি’ নামে ই-কমার্স ওয়েবসাইট ও ফেসবুক পেইজ চালাতেন।
“ওই ওয়েবসাইট ও ফেইসবুক পেইজের মাধ্যমে তারা আইপি ক্যামেরা, ডিজিটাল ক্যামেরা ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশের পাশাপাশি উচ্চ মূল্যে বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টারসহ এর যন্ত্রাংশ লাইসেন্স ব্যতীত অবৈধভাবে বিক্রি করে আসছে।”
এসব জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার টুজি, থ্রিজি এবং ফোরজি মোবাইল নেটওয়ার্কের কার্যক্ষমতাকে ‘প্রভাবিত করতে সক্ষম’ বলে জানান র্যাব অধিনায়ক আরিফ।
তিনি বলেন, “তাদের ক্রেতা বিভিন্ন বহুতল ভবনের বাসিন্দা।এ ছাড়া বিভিন্ন অপরাধীরা অপরাধ করার উদ্দেশ্যে উচ্চমূল্যে এইসব অবৈধ ডিভাইস ক্রয় করে থাকে।
“বৈধ আমদানিকারকের মাধ্যমে অধিক পরিবহন মূল্য পরিশোধ করে বৈধ মালামালের আড়ালে তারা এইসব অবৈধ যন্ত্রাংশ নিয়ে এসে অনলাইনে উচ্চ মূল্যে বিক্রি করে আসছে।”
গ্রেপ্তারদের জিজ্ঞাসাবাদের বরাতে আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, চক্রটি গত দুই বছরে দুই শতাধিক জ্যামার ও নেটওয়ার্ক বুস্টার বিক্রয় করেছে।
“গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে চারটি মোবাইল নেটওয়ার্ক জ্যামার, ২৪টি জ্যামার এন্টিনা, তিনটি মোবাইল নেটওয়ার্ক বুস্টার, নয়টি বুস্টারের আউটডোর এন্টিনা, ২৬টি বুস্টারের ইনডোর এন্টিনা ও একটি ল্যাপটপ উদ্ধার করা হয়।”
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব জানায়, বিটিআরসির অনুমোদন ছাড়া এ সসব যন্ত্র এবং যন্ত্রাংশ ক্রয়-বিক্রয় বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ।
আরিফ মহিউদ্দিন বলেন, “কোনো অপরাধী নেটওয়ার্ক জ্যামার ব্যবহার করে অপরাধ করলে ভুক্তভোগী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাহায্য নিতে কোনো মোবাইল নেটওয়ার্ক পাবেন না।”
এভাবে অপরাধীরা ‘নিজেদের আড়াল করে নির্বিঘ্নে অপরাধ করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গ্রেপ্তার সোহেলের বিরুদ্ধে চট্রগ্রাম ও খুলনা জেলায় দুটি চেক জালিয়াতির মামলা রয়েছে।