তার মতে, কোচের নির্দেশনা অনুযায়ী মাঠে কিছুই করতে পারেননি তারা। আত্মসমালোচনায় ঝারলেন ক্ষোভ।
লিগে গত সোমবারের ম্যাচে ২-০ গোলে জয় পেয়েছে নিউক্যাসল ইউনাইটেড। পুরো ম্যাচেই আধিপত্য বিস্তার করে খেলেছে তারা। দুটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে, একটি ছিল আত্নঘাতী।
শেষ রাউন্ডের আগে পাঁচ নম্বরে নেমে গেছে আর্সেনাল। ৩৭ ম্যাচে ২১ জয় ও ৩ ড্রয়ে ৬৬ পয়েন্ট তাদের। সমান ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে টটেনহ্যাম হটস্পার। ৩৬ ম্যাচে ৭০ পয়েন্ট নিয়ে এরই মধ্যে শীর্ষ চার নিশ্চিত করে ফেলেছে চেলসি।
শিরোপার জন্য লড়ছে ম্যানচেস্টার সিটি (৩৭ ম্যাচে ৯০ পয়েন্ট) ও লিভারপুল (৩৬ ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট)।
আর্সেনাল সবশেষ চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলেছিল ২০১৬-১৭ মৌসুমে। প্রতিযোগিতাটির পরবর্তী আসরে খেলার সমীকরণ এখন আর তাদের হাতে নেই। শেষ রাউন্ডে নিজেদের ম্যাচে জিতলেও দলটির তাকিয়ে থাকতে হবে টটেনহ্যামের ম্যাচের ফলাফলের দিকে।
নিউক্যাসলের বিপক্ষে বাজে খেলে শীর্ষ চার অনিশ্চিত হয়ে যাওয়ায় সতীর্থদের একহাত নিয়েছেন জাকা। ম্যাচ শেষে স্কাই স্পোর্টসকে তিনি বলেন, কোচ যেভাবে চান মাঠে তার প্রতিফলন হচ্ছে না।
“এমন পারফরম্যান্সের পর বলার মতো সঠিক শব্দ খুঁজে পাওয়াই কঠিন। প্রথম মিনিট থেকে ৯০ মিনিট পর্যন্ত আমরা মাঠে থাকার যোগ্যই ছিলাম না। পরিকল্পনা অনুযায়ী খেলতে পারিনি আমরা, কোচের কথা শুনিনি।”
“যা হয়েছে তা বিপর্যস্ত পারফরম্যান্স, বলাই যায়। (এভাবে খেললে) আমরা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, এমনকি ইউরোপা লিগেও খেলার যোগ্য নই। এই মুহূর্তে যা মেনে নেওয়া খুব কঠিন। আমি জানি না কোচ আমাদের যা করতে বলছেন আমরা কেন তা করছি না।”
খেলোয়াড়দের এমন হতশ্রী পারফরম্যান্সে বিরক্ত ও হতাশ কোচ মিকেল আর্তেতাও। তিনি মনে করেন, সবদিক থেকেই নিউক্যাসলের চেয়ে পিছিয়ে ছিল তার দল।
“এটি অত্যন্ত হতাশাজনক যে নিউক্যাসল আমাদের চেয়ে ১০ গুণ ভালো ছিল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলতে চাইলে যে মানের ফুটবল খেলা দরকার, আমাদের পারফরম্যান্স তার ধারেকাছেও ছিল না।
“এটা খুবই বেদনাদায়ক। (শীর্ষ চারে থাকা) এটা আমাদের হাতেই ছিল, কিন্তু এখন আর তা আমাদের হাতে নেই।”