যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি সরকারি সংস্থা
বলছে, এশিয়ার অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দা হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে চাকরি জোগাড়ের চেষ্টা
করছেন উত্তর কোরিয়ার আইটি কর্মীরা।
বলা হচ্ছে, উত্তর কোরিয়ার সামরিক অস্ত্রের
তহবিল জোগাড়ে সহযোগিতা করছেন ওই আইটি কর্মীরা যা আন্তর্জাতিক অবরোধ-নিষেধাজ্ঞার পরিষ্কার
লঙ্ঘন।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্রের
পরীক্ষাও চালিয়েছে উত্তর কোরিয়া। মার্চ মাসে আন্তঃমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা
চালিয়েছে দেশটি, যা ২০১৭ সাল থেকেই নিষিদ্ধ।
সোমবার এক যৌথ বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং এফবিআই বলেছে, “উত্তর কোরিয়া কয়েক হাজার
দক্ষ আইটি কর্মীকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিচ্ছে যেন তারা বিধ্বংসী অস্ত্র ও ব্যালিস্টিক
মিসাইল প্রকল্পের তহবিলের জন্য অর্থ কামাই করতে পারে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও জাদিসংঘের
নিষেধাজ্ঞার পরিপন্থি।”
বিবৃতিতে সংস্থাগুলো আরও বলেছে, ওই আইটি
কর্মীদের সিংহভাগের অবস্থান উত্তর কোরিয়া, চীন ও রাশিয়ায়। আফ্রিকা ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াতেও
স্বল্প সংখ্যক কর্মী আছেন।
বৈশ্বিক প্রযুক্তি শিল্পে সফটওয়্যার
বা মোবাইল অ্যাপ নির্মাণের মতো বিভিন্ন কাজে দক্ষ কর্মীর সঙ্কট রয়েছে। উত্তর কোরিয়ার
আইটি কর্মীরা এই বিদ্যমান চাহিদার সুযোগ নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ফ্রিল্যান্সিং
চাকরি নেওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানিয়েছে ওই তিন সংস্থা।
বিবৃতিতে তিন মার্কিন সংস্থা আরও বলেছে,
সরাসরি হ্যাকিংয়ে অংশ না নিলেও হ্যাকিংয়ের সুযোগ সৃষ্টি করছেন উত্তর কোরিয়ার ওই কর্মীরা।
এ ছাড়াও, উত্তর কোরিয়ার কর্মীদের নিয়োগ দেওয়া হলে নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘনের অভিযোগে চাকরিদাতা
প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করে দিয়েছে সংস্থা তিনটি।
এপ্রিল মাসে অনলাইন গেইম অ্যাক্সি ইনফিনিটি
হ্যাক করে ৬১ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ক্রিপ্টো মুদ্রা চুরি করে নিয়েছে হ্যাকাররা। যুক্তরাষ্ট্র
বলছে, ওই ঘটনার মূল হোতা ছিল উত্তর কোরিয়ার সরকার সমর্থিত হ্যাকাররা।