ক্যাটাগরি

পিরিয়ড নিয়ে অকপট নিউ জিল্যান্ডের গলফার কো

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, ২০২২ সালের পালোস ভারদেস চ্যাম্পিয়নশিপে
দুই স্ট্রোকের ব্যবধানে মারিনা অ্যালেক্সের কাছে হেরে যান কো। তবে প্রথা ভাঙার কথার
বিচারে তিনি ঠিকই জিতে গেছেন।

খেলার চূড়ান্ত পর্বে ২৫ বছরের কোকে পিঠের ব্যথার জন্য গলফ
কোর্সেই ফিজিওথেরাপিস্টের শরণাপন্ন হতে হয়েছিল।

খেলা শেষে এ নিয়েই প্রশ্ন করে বসেন গলফ চ্যানেলের জেরি ফল্টজ।
তিনি জানতে চান, শেষ রাউন্ডে কেন ফিজিওথেরাপিস্ট ডাকতে হল?

 

ওই সময় ম্যাচ ছিল টাই অবস্থায়। স্কোরের ওই পর্যায়ে ফিজিথেরাপিস্ট
ডেকে আনা কি ইচ্ছাকৃত ছিল?

সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে কো কোনো রকম লুকোচুরি করেননি। তিনি
বলেন, “এটা আমার মাসিকের সময়। আমি জানি, নারীরা যারা খেলা দেখছিলেন, তারা ঠিকই বিষয়টা
ধরতে পেরেছেন।”

কো খোলাখুলিই বলেন, পিরিয়ড খুব স্বাভাবিক বোধ করার মত বিষয়
নয়। এতে কোমরে-পিঠে ব্যথা হয়।

“মাসিকের সময় আমার পিঠ একেবারে শক্ত হয়ে যায়। আমি এ সময় যেন
ভেঙ্গেচুরে যাই। ক্রিস (ফিজিওথেরাপিস্ট) এই প্রথমবার আমাকে এমন বাঁকা হয়ে থাকতে দেখছে
তা নয়; তবে থেরাপি নিলে আমি কিছুটা স্বস্তি বোধ করি।” 

কো তাৎক্ষণিকভাবে এমন স্বতঃস্ফূর্ত জবাব দেবেন, তা হয়ত ওই
সাংবাদিক ভাবেননি। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস লিখেছে, ওই মুহূর্তে জেরি ফল্টজ শুধু ‘ধন্যবাদ’
শব্দটি উচ্চারণ করতে পেরেছিলেন।

আর তাতে হাসি আটকে রাখতে না পেরে কো বলেন, “আমি জানি, আপনি
বলার মত কোনো শব্দ খুঁজে পাচ্ছেন না। সত্যি বলতে কি, ব্যাপারটাই তো এমনই।”

 

ওই ঘটনার পর সামাজিক
যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকের কাছেই জবাবদিহি করতে হয়েছে ফল্টজকে।  

সামাজিক যোগাযোগ
মাধ্যমে সবার সমর্থনই পেয়েছেন লিডিয়া কো। সেই সঙ্গে অভিযোগের তীর ছোড়া হয়েছে
বিখ্যাত ক্রীড়া সাংবাদিকদের দিকে।

একজন লিখেছেন, ফল্টজ
সবসময় খেলোয়াড়দের বেকায়দা মুহূর্ত নিয়ে প্রশ্ন করে বিব্রত করেন। তবে এবার ‘পাশা
উল্টে গেছে’। 

অনেকেই বলছেন,
ক্রীড়াঙ্গনের যে কোনো খেলায় নারী খেলোয়াড়দের যে এমন একটি বাড়তি জটিলতা বয়ে চলতে হয়,
তা সাংবাদিকরা মোটেও উপলব্ধি করতে চান না।

আর সবাই এ বিষয়ে
একমত, খেলার জগতে মাসিক নিয়ে কথা বলায় রাখঢাক রাখা ঠিক নয়। টুইটারে অনেকে লিখেছেন,
মাসিক নিয়ে সবরকম গোঁড়ামি কাটিয়ে ওঠার এখনই সময়; এবং মাসিক কোনো অজুহাত বা
দুর্বলতাও নয়।