তাতে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত
১২ কেজি এলপিজির সিলিন্ডারের সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য গত মাসের চেয়ে ১০৪ টাকা দাম কমে
১৩৩৫ টাকা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ এনার্জি
রেগুলেটরি কমিশনের পক্ষ থেকে মে মাসের জন্য এলপিজির এই নতুন দাম নির্ধারণ করে দেওয়া
হয়েছে, যা এদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হবে।
বিইআরসির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে
বলা হয়, সৌদি আরবের কোম্পানি আরামকোর সিপি মূল্য অনুযায়ী মে মাসে প্রতি টন প্রোপেনের
দাম পড়ছে ৮৫০ ডলার এবং বিউটেন ৮৬০ ডলার। তাতে ৩৫:৬৫ হারে মিশ্রনের দাম হয় প্রতি টন ৮৫৬ দশমিক ৫০ ডলার। সেই অনুযায়ী মূসকসহ
প্রতি কেজি এলপিজির সর্বোচ্চ দাম দাঁড়াচ্ছে ১১১ টাকা ২৬ পয়সা।
রেটিকুলেটেড এলপিজির দাম
নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১০৮ টাকা ০২ পয়সা, যা আগের মাসে ১১৬ টাকা ৭০ পয়সা ছিল।
ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের দাম আগের মাসের ৬৭ টাকা ০২ পয়সা থেকে কমে ৬২ টাকা ২১ পয়সা
হচ্ছে।
নতুন মূল্যহার অনুযায়ী, সাড়ে
৫ কেজি ওজনের একটি সিলিন্ডারের দাম ৬১২ টাকা, ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের দাম ১৩৩৫ টাকা,
সাড়ে ১২ কেজি ওজনের সিলিন্ডারের দাম ১৩৯১ টাকা, ১৫ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১৬৬৯ টাকা,
১৬ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১৭৮০ টাকা, ১৮ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২০০৩ টাকা, ২০ কেজি সিলিন্ডারের
দাম ২২২৬ টাকা, ২২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৪৪৮ টাকা, ২৫ কেজির সিলিন্ডার ২৭৮১ টাকা,
৩০ কেজির সিলিন্ডার ৩৩৩৮ টাকা, ৩৩ কেজির সিলিন্ডার ৩৬৭২ টাকা, ৩৫ কেজির সিলিন্ডার
৩৮৯৪ টাকা এবং ৪৫ কেজির সিলিন্ডার ৫০০৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
টানা পাঁচ মাস মূল্যবৃদ্ধির
পর গত ডিসেম্বরে দেশে এলপিজির দাম কমতে শুরু করেছিল। জানুয়ারিতেও প্রতি কেজিতে দাম
৪ শতাংশ কমে ৯৮ টাকা ১৭ পয়সায় নেমেছিল।
কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে
দাম বেড়ে যাওয়ায় ফেব্রুয়ারিতে তা ৫ শতাংশ বেড়ে গিয়ে ১০৩ টাকা ৩৪ পয়সা হয়। মার্চ মাসে
১২ শতাংশ বেড়ে হয় ১১৫ টাকা ৮৮ পয়সা। সবশেষ গত এপ্রিলে দাম বেড়েছিল ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ।