ক্যাটাগরি

টুইটারে মাস্ক যুগ শুরুর আগে চাকরি গেল দুই কর্মকর্তার

তাদের মধ্যে টুইটারের
কনজিউমার বিভাগের নেতৃত্বে ছিলেন কেভন বেকপুর। আর ব্রুস ফালক দেখতেন রেভিনিউ বিভাগ।

বিবিসি জানিয়েছে,
উচ্চপদস্থ দুই কর্মকর্তাকে ছাঁটাইয়ের পাশাপাশি নতুন কর্মী নিয়োগ প্রক্রিয়াও স্থগিত
রেখেছে টুইটার। তবে, ‘ব্যবসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ’ পদে প্রয়োজনে তারা কর্মী নিয়োগ দেবে।

টুইটারের এক মুখপাত্র
বিবিসিকে বলেছেন, একইসঙ্গে কার্যকর ও দক্ষভাবে কোম্পানি চালানোর মত করেই তারা খরচ কমাচ্ছেন।

বেকপুর ও ফালক
দুজনেই চাকরির হারানোর খবর জানিয়েছেন টুইট করে। দুজনকেই চাকরি ছাড়তে বলেছেন টুইটারের
বর্তমান প্রধান নির্বাহী পারাগ আগরাওয়াল।

এর মধ্যে বেকপুর
পিতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন। টুইটারে তিনি কাজ করেছেন সাত বছর।তার ভাষায়, সিইও পারাগ
আগরাওয়াল টুইটারকে ‘ভিন্ন গতিপথে’ নিতে চান, সে কারণে তাকে চলে যেতে বলেছেন।

 

ব্রুস ফালক টুইটও
করে বলেছিলেন, “আমি এটা স্পষ্ট করতে চাই যে, আমাকেও পারাগ ছাঁটাই করেছে।” তবে, ফালক
পরে টুইটটি মুছে দেন।

বেকপুর ছুটিতে
থাকায় কনজিউমার বিভাগের দেখভাল করছিলেন জে সুলিভান। বিবিসি জানিয়েছে, বেকপুরের বিদায়ের
পর স্থায়ীভাবেই ভোক্তা পণ্য বিভাগের দায়িত্ব নিচ্ছেন তিনি। নতুন প্রধান নিয়োগের আগ
পর্যন্ত তিনি রেভিনিউ বিভাগের দায়িত্বেও থাকবেন।

বেকপুর ও ফালক
উভয়ের চাকরি হারানোর পরের টুইটে সরাসরি উত্তর দিয়েছেন প্রধান নির্বাহী পারাগ আগরাওয়াল।
উভয়কেই ধন্যবাদ জানিয়ে ব্যক্তিগত জায়গা থেকে ভালো লাগার কথা জানিয়েছেন তিনি।

 

 

তবে, টুইটারে
আগরাওয়ালের নিজের ভবিষ্যতও অনিশ্চিত। বাজারে জোর আলোচনা, অধিগ্রহণ চুক্তির আনুষ্ঠানিকতা
শেষে সম্ভবত ইলন মাস্ক নিজেই টুইটারের প্রধান নির্বাহীর পদে বসবেন।

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে
টুইটারকে ঘিরে একের পর এক নাটকীয়তার জন্ম দিয়েছেন বর্তমান বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক।
প্রথমেই টুইটারের ৯ শতাংশের বেশি শেয়ার কিনে আলোড়ন তুলেছিলেন তিনি।

বিপুল সংখ্যক
শেয়ারের মালিক হওয়ায় মাস্ককে পরিচালক পদে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল টুইটারের পরিচালনা পর্ষদ।
শেষ মুহূর্তে সেই আমন্ত্রণ নাকচ করে দিয়ে উল্টো চার হাজার চারশ কোটি ডলারে পুরো কোম্পানি
কিনে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে বসেন মাস্ক।

প্রথম অবস্থায়
মাস্কের কাছে বিক্রি হওয়া ঠেকাতে টুইটারের পরিচালনা পর্ষদ ‘আত্মরক্ষামূলক’ পদক্ষেপ
নিলেও, পরে মাস্কের কাছে কোম্পানি বেচে দিতে রাজি হন শেয়ার মালিকরা।