ক্যাটাগরি

ট্রেনে ফের আসনের বেশি টিকেট

বৃহস্পতিবার রেলভবনে এক বৈঠকে শোভন শ্রেণির
এই টিকেট বিক্রির সিদ্ধান্ত হয় বলে রেলের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার
জানিয়েছেন।

বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে তিনি বলেন,
“এখন স্ট্যান্ডিং টিকেট বিক্রি বন্ধ থাকলেও অনেক যাত্রী দাঁড়িয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু তারা
ভাড়া দিচ্ছেন না।

“আমরা লোকজনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারছি না।
টিকেট ছাড়াই উঠে যায়। জরিমানা করতে গেলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। এ কারণে এই সিদ্ধান্ত।”

তবে কবে থেকে, কত শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকেট
দেওয়া হবে, তা আগামী সপ্তাহে নির্ধারণ করা হবে বলে জানান তিনি।

করোনাভাইরাস মহামারীর প্রথম বছর ‘লকডাউনে’
৬৭ দিন বন্ধ থাকে ট্রেন চলাচল। ওই বছর ৩১ মে আসন সংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে ট্রেনে
যাত্রী বহন শুরু হয়। সংক্রমণ কমে এলে ওই বছরের সেপ্টেম্বরেই সব আসনে যাত্রী বহন শুরু
হয়। কিন্তু দাঁড়িয়ে যাত্রী তোলা বন্ধে স্ট্যান্ডিং টিকেট বিক্রি বন্ধ রাখা হয়।

এখন সবকিছু আবার স্বাভাবিক
হয়ে আসায় মানুষের যাতায়াতের প্রয়োজনও বেড়েছে। কিন্তু স্ট্যান্ডিং টিকেট বন্ধ রাখায়
জরুরি প্রয়োজনে বৈধভাবে ট্রেনে যাত্রার সুযোগ হচ্ছে না। তাতে বিনা টিকেটের যাত্রী আবার
বাড়ছে, আর তাতে ট্রেনের কিছু কর্মীর পকেট ভরছে। 

ওই অনিয়ম বন্ধ করতে না পারার
‍যুক্তি দেখিয়েই এখন আবার স্ট্যান্ডিং টিকেট ফিরিয়ে আনা হচ্ছে আন্তঃনগর ট্রেনে।তবে
ঢাকা
থেকে চট্টগ্রামসহ অন্যান্য গন্তব্যে সরাসরি চলাচল করে এমন আন্তঃনগর ট্রেনে স্ট্যান্ডিং
টিকিট বিক্রি করা হবে না বলে জানান অসীম কুমার তালুকদার।