ক্যাটাগরি

পাবনা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী মারধরে ‘গুরুতর’ আহত

শনিবার
গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে ওই ছাত্র জানান।

আহত নূরুল
আমিন বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের ১১তম ব্যাচের (৩য় বর্ষ প্রথম সেমিস্টার) এবং
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের আবাসিক শিক্ষার্থী।

তাকে পাবনা
জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।   

কানের পর্দা
ফেটে গেছে বলে শঙ্কা প্রকাশ করে সুস্থ হতে সময় লাগবে বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা।

বিশ্ববিদ্যালয়
উপাচার্যসহ প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক-কর্মকর্তারা তাকে হাসপাতালে দেখে গেছেন।

এই বিভাগের
জ্যেষ্ঠ শিক্ষার্থী ওহিদুল ইসলাম বলেন, “আমরা ঘটনাটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে তাকে হাসপাতালে
নিয়ে আসি। তার মাথায় আঘাত করা হয়েছে। সে মাঝে মাঝেই সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলছে। আমরা এ ঘটনার
বিচার দাবি করছি।”

নূরুল আমিনকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হাফিজা খাতুন

নূরুল আমিনকে দেখতে হাসপাতালে গিয়েছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হাফিজা খাতুন

তার সহপঠীরা
জানান, শনিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইতিহাস বিভাগের ১১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী অনিক পোদ্দারসহ
কয়েকজন ছাত্র তাকে রুম থেকে ডেকে হলের ছাদে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর তারাই আবার রুমে
দিয়ে যান নূরুলকে।

এরপর তার
শরীরের অবস্থা দেখে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে রাত দেড়টার দিকে তাকে
পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করান।

সংজ্ঞা
ফিরে আসার পর নূরুল হামলাকারী কয়েকজনের নাম প্রকাশ করেছেন বলে তার সঙ্গীরা জানান।

তারা আরও
বলেন, হলের ডাইনিংয়ে খাবার নিয়ে নূরুল সম্প্রতি একটি স্ট্যাটাস দেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়েই
তারা তাকে মারপিট করেছে।

এদিকে,
অনিক পোদ্দার মারপিটের বিষয়ে অস্বীকার করলেও রুম থেকে ডেকে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার
করেছেন। হলের খাবার সংক্রান্ত কোনো বিষয়ে তাকে মারা হয়নি বলেও দাবি করেন।

“তবে একটি
মিটিংয়ের জন্য আমরা কয়েকজন বন্ধুরা মিলে তাকে রুম থেকে ডেকে ছাদে নিয়ে কথা বলেছি।”

পাবনা জেনারেল
হাসপাতালের নাক কান গলা রোগ বিশেষজ্ঞ সার্জন ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, “ওই শিক্ষার্থীর
সম্ভবত কানের পর্দা ফেটে গেছে। সুস্থ হতে কিছুটা সময় লাগবে। মাথায় আঘাতজনিত কারণে এমনটি
হতে পারে।” 

পাবনা বিজ্ঞান
ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হাফিজা খাতুন বলেন, “আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে
আজ রোববার একটি অনুষ্ঠান ছিল; তবুও বিষয়টি অবগত হওয়ার সাথে সাথেই হাসপাতালে গিয়েছি।
খোঁজ-খবর নিয়ে তার চিকিৎসার ব্যাপারে পদক্ষেপ নিয়েছি। প্রথমত ছেলেটাকে সেভ করাই আমাদের
মুখ্য বিষয়।”

তবে এ ঘটনায়
তদন্ত কমিটি করা হবে, যারাই এ ঘটনার সাথে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ
করা হবে বলে তিনি জানান।