সিউলের
বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়াকে ৫-১
গোলে হারায় ব্রাজিল। দলের শেষ গোলটি করেন জেসুস।
৭৮তম
মিনিটে রাফিনিয়ার বদলি নেমে যোগ করা সময়ে তিনি জালের দেখা পান। ব্রুনো গিমারেসের
পাস ধরে ডান দিক দিয়ে প্রতিপক্ষের দুই খেলোয়াড়ের মাঝ দিয়ে বক্সে ঢুকে আরেক জনের
বাধা এড়িয়ে নিচু শটে খুঁজে নেন ঠিকানা।
ব্রাজিলের
হয়ে জেসুস সবশেষ গোলটি করেছিলেন ২০১৯ সালের জুলাইয়ে, কোপা আমেরিকার ফাইনালে পেরুর
বিপক্ষে। এরপর গোলহীন কাটে ১৮ ম্যাচ।
জাতীয়
দলের হয়ে তার সবচেয়ে দীর্ঘ গোল খরা কাটিয়ে খুব খুশি ২৫ বছর বয়সী এই ফুটবলার। কঠোর
পরিশ্রমের ফল পেয়েছেন বলে মনে করছেন তিনি।
“আমি
ভাগ্যে বিশ্বাস করি, কিন্তু এক্ষেত্রে নয়। আমি কঠোর পরিশ্রম করি, নীরবে নিজের কাজ
করে যাই। প্রশংসা বা সমালোচনার জবাবে কিছু বলি না। পরিশ্রমই বড় বিষয়। শুধু আমার
গোল নয়, দলের পারফরম্যান্সও খুব ভালো ছিল।”
“আমার
পারফরম্যান্সে আমি সন্তুষ্ট ছিলাম না। আমি উন্নতি করার, কাজ করার চেষ্টা করেছি।
ক্লাবে ও ব্যক্তিগতভাবে খুব ভালো একটি সময় কাটাচ্ছি। আমাকে পরিশ্রম করে যেতে হবে।
তাহলে সুযোগ আসবেই।”
মাঠের
ভেতরে ও বাইরে সময়টা দারুণ কাটছে জেসুসের। গত মাসের শেষ দিকে বাবা হয়েছেন তিনি।
ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে জিতেছেন প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা। সব মিলিয়ে তাই খুশির জোয়ার
বইছে তার মনে।
“আমি
সবসময় গোল করার চেষ্টা করি। অবশ্যই এটির মাহাত্ম্য কিছুটা বেশি। মিথ্যা বলব না,
আমি খুব খুশি। বাবা হওয়া এবং নিজের পরিবার গড়ে ওঠা, আমার জন্য সময়টা আনন্দের।