শ্রীলঙ্কার
বিপক্ষে সিরিজ শেষে টেস্ট দলের অনেকেই আছেন ছুটিতে। ঢাকার বাইরে বা দেশের বাইরেও আছেন
কয়েকজন। তবে সীমিত ওভারের দলের কয়েকজন নিয়মিত অনুশীলন করছেন মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে।
চোট কাটিয়ে পুরো ফিট হওয়ার লড়াইয়ে নিজেকে ঝালিয়ে নিচ্ছেন মিরাজও।
প্রধান
কোচ রাসেল ডমিঙ্গো ছুটিতে দেশে যাওয়ায় অনুশীলনে ক্রিকেটারদের দেখভাল করছেন মূলত সিডন্স।
মিরপুরে শনিবার সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে ব্যাটিং কোচ জানালেন, অনুশীলনে কার নজর
কোন দিকে।
“ওরা
সবাই পরস্পর থেকে আলাদা ধরনের। মুনিম (শাহরিয়ার) টি-টোয়েন্টিতে ইনিংস ওপেন করার অনুশীলন
করছে। মিরাজ তিন সংস্করণের জন্যই অনুশীলন করছে। টি-টোয়েন্টিতে আরও ভালো ক্রিকেটার হয়ে
ওঠার চেষ্টাও সে করছে, যেন দলে জায়গার দাবি জানাতে পারে। পাশাপাশি টেস্ট ম্যাচের জন্যও
প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
“রিয়াদ
(মাহমুদউল্লাহ) প্রস্তুত হচ্ছে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডের জন্য। কেউ লাল বলে, কেউ সাদা
বলে অনুশীলন করছে। একেকজনের মনোযোগ একেক দিকে।”
ঘরোয়া
ক্রিকেটে আগ্রাসী ব্যাটিং করে গত মার্চে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে অভিষেক
হয়েছে মুনিম শাহরিয়ারের। খুব ভালো অবশ্য করতে পারেননি দুই ম্যাচে। তবে সম্ভাবনার সামান্য
ঝলক তিনি দেখাতে পেরেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরেও সুযোগটা তিনি পাবেন।
ওয়েস্ট
ইন্ডিজে মুনিমের সঙ্গে ব্যাটিং ওপেন করতে দেখা যেতে পারে এনামুলকে। বাংলাদশের হয়ে সবশেষ
টি-টোয়েন্টি খেলেছেন তিনি ২০১৫ সালে। এবার জাতীয় দলে ফিরেছেন ৫০ ওভারের সংস্করণের ঢাকা
প্রিমিয়ার লিগে রানের জোয়ার বইয়ে দিয়ে।
এই ওয়েস্ট
ইন্ডিজ সিরিজ দিয়ে বলা যায়, অক্টোবর-নভেম্বরে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপের প্রস্তুতিও শুরু
হচ্ছে বাংলাদেশের। অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও কি মুনিম ও এনামুলের ইনিংস
শুরু করার সম্ভাবনা আছে? সিডন্স উত্তরটা দিলেন সরাসরিই।
“অবশ্যই…
ওদেরকে নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত। ওদের সঙ্গে কাজ করে ভালো লাগছে। ওরা তরতাজা, অন্যান্য খেলার
ক্ষত ওদের নেই। প্রথম ৬ ওভারে ওরা কী করতে পারে, এটা দেখাটা আমাদের জন্য রোমাঞ্চকর।”