সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন শচিন টেন্ডুলকারের ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার বাঁহাতি পেসার। ২২ বছর বয়স তার এখন, তবে স্বীকৃত ক্রিকেটে ম্যাচ খেলতে পেরেছেন স্রেফ দুটি। গত বছরের জানুয়ারিতে সৈয়দ মুশতাক আলি ট্রফিতে দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেন মুম্বাইয়ের হয়ে। শচিন ২২ বছর বয়সে ছিলেন বিশ্বের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন।
দুজনের তুলনার ক্ষেত্রই তাই খুব একটা নেই। কিন্তু বাবা-ছেলে বলে তুলনা চলে নিত্যই। সদ্য সমাপ্ত আইপিএলে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সে ছিলেন অর্জুন। অনেক আগেই প্লে অফ সমীকরণ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর বেশ কজন তরুণকে ম্যাচ খেলিয়ে বাজিয়ে দেখেছে মুম্বাই, কিন্তু অর্জুনের সুযোগ হয়নি। যদিও এই দলের ‘মেন্টর’ হিসেবে আছেন স্বয়ং শচিন।
৩০ লাখ রুপিতে দলে নেওয়া অর্জুনকে একটি ম্যাচও না খেলানো নিয়েও সংবাদমাধ্যমে চলছে আলোচনা। এই নিয়ে দুই মৌসুম মুম্বাই তাকে দলে নিলেও এখনও কোনো ম্যাচে একাদশে রাখেনি।
কপিলের মতে, বাবার নামের ওজন অর্জুনের জন্য ভারী মনে হতে পারে। ভারতের ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক তাই বললেন, বাবার সঙ্গে তুলনা করে ছেলেকে ভারাক্রান্ত না করতে।
“সবাই কেন তাকে নিয়ে কথা বলছে? কারণ সে শচিন টেন্ডুলকারের ছেলে। তাকে নিজের খেলা খেলতে দিন এবং শচিনের সঙ্গে তুলনা করবেন না। নামের সঙ্গে টেন্ডুলকার থাকা মানের গর্বের উপকরণ যেমন আছে, তেমনি অনেক অসুবিধাও আছে।”
“ডন ব্র্যাডম্যানের ছেলে নিজের নাম বদলে ফেলেছিলেন, কারণ তিনি নামের চাপ নিতে পারছিলেন না। নামের শেষাংশ থেকে ব্র্যাডম্যান বাদ দিয়েছিলেন তিনি, কারণ সবাই আশা করছিল তিনি বাবার মতোই হবেন।”
সর্বকালের সেরা অলরাউন্ডারদের একজন বলে বিবেচিত কপিল একটা পরামর্শও দিলেন অর্জুনকে। তবে কথায় কথায় শেষ পর্যন্ত প্রত্যাশার ভার কিছুটা চাপিয়ে দিলেন তিনি নিজেও।
“অর্জুনকে চাপে ফেলবেন না। সে এখনও তরুণ। শচিনের মতো একজন গ্রেট তার বাবা, আমরা তাকে নিয়ে কথা বলার কে? তার পরও আমি তাকে একটি পরামর্শ দিতে চাই… ‘নিজের মতো খেলো ও উপভোগ করো। বাবার অর্ধেকও যদি হতে পারো, এর চেয়ে ভালো কিছু আর হয় না।’ নামের শেষে যখন টেন্ডুলকার থাকে, আমাদের প্রত্যাশাও বেড়ে যায়, কারণ শচিন এমনই এক কিংবদন্তি।”