এমনিতেই
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের বেহাল অবস্থা। কদিন আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে
মিরপুর টেস্টে, এই সিরিজের আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে বাজেভাবে ধস নেমেছে বারবার। বেশির
ভাগ ব্যাটসম্যানের আত্মবিশ্বাস তলানিতে। এর মধ্যেই সামনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাঠে সম্ভাব্য
গতিময় ও বাউন্সি উইকেটে ক্যারিবিয়ান পেসারদের সামলানোর চ্যালেঞ্জ।
কঠিন
এই লড়াইয়ে দল পাচ্ছে না মুশফিকের মতো ফর্মে থাকা অভিজ্ঞ একজনকে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে
সিরিজে দুই টেস্টে দুটি সেঞ্চুরি করা ব্যাটসম্যান ক্যারিবিয়ায় যাচ্ছেন না হজ পালন করার
জন্য ছুটি পাওয়ায়।
সফরের
আগে মিরপুরে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জেমি সিডন্স আক্ষেপ করলেন বটে মুশফিকের না
থাকা নিয়ে, তবে মুদ্রার অপর পিঠ দেখতে নিজের উৎসাহের কথাও তুলে ধরলেন।
“কোনো
সন্দেহ নেই, আমাদের কাজটা আরও কঠিন হবে তাকে ছাড়া। মুশফিকের জায়গায় হয়তো রাব্বি (ইয়াসির
আলি) খেলবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় এবং নিউ জিল্যান্ডে টেস্ট ম্যাচে সে ভালোই খেলেছে। সে
আরেকটি সুযোগ পাবে। সে কীভাবে সুযোগটা নেয়, দেখতে মুখিয়ে আছি আমি। ভালো ব্যাটসম্যান
সে।”
গত মার্চে
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে প্রথম ওয়ানডেতে ৪৪ বলে ৫০ রানের ইনিংস খেলে দলের জয়ে ভূমিকা রাখেন
ইয়াসির। টেস্টে দুটি ইনিংসে থিতু হয়েও অবশ্য বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। ডারবানে আউট হন
২২ রানে, পোর্ট এলিজাবেথে ৪৬ রানে।
জানুয়ারিতে
নিউ জিল্যান্ড সফরে ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে দলে বিপর্যয়ের মধ্যে ৫৫ রানের ইনিংস খেলেছিলেন
তিনি, ৪ টেস্টে এখনও পর্যন্ত তার একমাত্র ফিফটি যেটি।