তিনি বলেছেন, “সারা দেশের মানুষ এই সরকারের প্রতি বিক্ষুব্ধ, এই সরকারের প্রতি তারা
আস্থা হারিয়েছে। তাই আজকে দেশের জনগণ চায় যত শিগগিরই এই সরকারের পতন।”
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে
এক আলোচনা সভায় একথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।
নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে খন্দকার
মোশাররফ বলেন, “আজকে দেশ একটা নীরব দুর্ভিক্ষের মধ্য দিয়ে চলছে।
চাল থেকে শুরু করে সকল পণ্যের মূল্যের ঊধর্বগতি।
“একদিকে এই মূল্যস্ফীতি, অন্যদিকে আমাদের টাকার মান
কমে যাচ্ছে। কীসের জন্য? এই সরকারের দুঃশাসনের জন্য। গায়ের জোরে তারা সরকারে আছে, সিন্ডিকেট
করে সরকারে আছে। ব্যবসা-বাণিজ্য তাদের আওয়ামী সিন্ডিকেটের হাতে। এই দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ
করে এই আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেট।”
এই অবস্থার পরিবর্তনে আন্দোলনের বিকল্প
নেই মন্তব্য করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
এনপিপি আয়োজিত এই আলোচনায় খন্দকার
মোশাররফ বলেন, “আপনারা লক্ষ্য করেছেন যে, এদেশে যারা এই স্বৈরাচারী
সরকারকে সমর্থন করে না, এদেশের গণতান্ত্রিক, দেশপ্রেমিক দল-জোট-ব্যক্তিকে নিয়ে একটা
জাতীয় ঐক্যমত সৃষ্টি করার জন্য আমরা একটা প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।
“আমরা খুব আনন্দিত যে অনেক সাড়া পেয়েছি। তার চেয়ে
বেশি আনন্দিত যে, জনগণের মধ্যে সাড়া আমরা সবচাইতে বেশি পেয়েছি। কারণ জনগণ আজকে ঐক্যবদ্ধ।
শুধু একটি রাস্তায় নেমে কার্য্কর আন্দোলন সৃষ্টি করতে হবে। সেই অপেক্ষায় জনগণ আছে।”
শ্রীলঙ্কার মতো জনবিক্ষোভ ঢাকায়ও হবে
বলে ক্ষমতাসীনদের সতর্ক করেন তিনি।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের
দাবি তুলে খন্দকার মোশাররফ বলেন, “এই সরকার ক্ষমতায় থাকলে এদেশে কখনও নিরপেক্ষ নির্বাচন
হবে না, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হবে না, তারা অতীতের নির্বাচনগুলোতে প্রমাণ করেছে। আজকে
আন্তর্জাতিকভাবে এটা স্বীকৃত।
“অতএব এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না, নির্দলীয়
সরকারের অধীনেই নির্বাচন হতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই।”
২০ দলীয় জোটের শরিক ন্যাশনাল পিপপলস
পার্টি বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই আলোচনা
সভার আয়োজন করে।
এনপিপির চেয়ারম্যান ফরিদুজ্জামান ফরহাদের
সভাপতিত্বে ও মহাসচিব মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তফার সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির
(কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, বিএনপির আবদুস সালাম, জাগপার খন্দকার লুতফর রহমান,
জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা, ন্যাপ ভাসানীর আজহারুল ইসলাম, এনডিপির আবু তাহের, এলডিপির
সাহাদাত হোসেন সেলিম, ডিএলের সাইফুদ্দিন আহমেদ মনি, মুসলিম লীগের শেখ জুলফিকার বুলবুল
চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।