ক্যাটাগরি

মিয়ানমারে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আন্দোলনকারীদের আপিল খারিজ

এতে কয়েক দশকের মধ্যে দেশটিতে
প্রথম মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পথে আর কোনো বাধা রইল না, জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

এক বছরেরও বেশি আগে এক অভ্যুত্থানের
মাধ্যমে মিয়ানমারের নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতা দখল করে দেশটির সামরিক বাহিনী।
তারপর তাদের গঠন করা সরকার সমালোচক, বিরোধীদলীয় সদস্য ও আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে নৃশংস
দমনপীড়ন চালায় যা বিশ্বব্যাপী নিন্দার কারণ হয়।

চলতি বছরের জানুয়ারিতে একটি সামরিক
ট্রাইব্যুনালে বর্ষীয়ান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকারী কিয়াও মিন ইউ ও সাবেক ক্ষমতাসীন দল
ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) আইনপ্রণেতা ফায়ও জেয়ার থাওকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া
হয়।

ওই সময়ে জান্তার দেওয়া এক বিবৃতি
অনুযায়ী, তারা দেশদ্রোহীতা ও সন্ত্রাসবাদের দায়ে অভিযুক্ত হয়েছিলেন।

মিয়ানমারের সামরিক সরকারের শুক্রবারের
দেওয়া ঘোষণাকে মানবাধিকারের ‘নির্লজ্জ লংঘন’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মুখপাত্র
স্টিফেন ডুজারিক। তাদের এ ঘোষণায় জাতিসংঘ ‘গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’ বলে জানিয়েছেন তিনি।

ডুজারিক বলেন, “নিজেদের মৌলিক
স্বাধীনতা ও অধিকার প্রয়োগের সঙ্গে সম্পর্কিত কারণে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের
বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তুলে নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে মিয়ানমারের সব রাজনৈতিক বন্দিদের অবিলম্বে
মুক্তি দিতে বলেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।”

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে,
কিয়াও মিন ইউ ও ফায়ও জেয়ার থাও তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন কি না,
তা পরিষ্কার হয়নি। সামরিক জান্তার দেওয়া বিবৃতিতে তাদের আবেদনের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

জান্তার এক মুখপাত্র জানিয়েছেন,
দণ্ডের বিরুদ্ধে তাদের আপিল আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। তবে কে প্রত্যাখ্যান করেছে
তাও পরিষ্কার হয়নি। ওই আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধিদের মন্তব্যও নিতে পারেনি রয়টার্স।

জান্তা মুখপাত্র জাও মিন তুন
বিবিসি বার্মিজকে বলেছেন, “আগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আপিল করতে পারতেন, যদি কোনো
সিদ্ধান্ত না হতো তাহলে তাদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হতো না। এবার আপিল খারিজ হয়েছে,
তাই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হতে যাচ্ছে।”  

কখন মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে
তা জানাননি তিনি।

মিয়ানমারের বিচারকরা ‍খুনসহ গুরুতর
অপরাধের দায়ে দোষী সাব্যস্ত অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ড দিলেও কয়েক দশকের মধ্যে একটিও কার্যকর
হয়নি।