জানুয়ারির পর সোমবারের
আগ পর্যন্ত তাইওয়ানের আকাশসীমার কাছে আর কখনোই এত বেশি চীনা যুদ্ধবিমান যাওয়ার ঘটনা
ঘটেনি।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট
জো বাইডেন তাইওয়ানে চীনা আক্রমণের ব্যাপারে সতর্ক করার কয়েকদিনের মধ্যেই এ ‘অনুপ্রবেশের’ ঘটনা ঘটল।
স্বশাসিত দ্বীপটির সঙ্গে
নিরাপত্তা ও বাণিজ্য সংক্রান্ত আলাপ করতে সোমবারই মার্কিন সেনেটর টামি ডাকওয়ার্থ ঘোষণা
না দিয়েই তাইওয়ান সফর করেছেন; বাইডেনের হুঁশিয়ারি ও ওই কর্মকর্তার সফরের পাল্টায় বেইজিং
এ যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক মাসগুলোতে চীনকে
অনেকবারই তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে বিমান পাঠাতে দেখা গেছে। বেইজিং বলছে, এসবই
তাদের প্রশিক্ষণ মহড়ার অংশ।
চীন
তাইওয়ানকে তাদের একটি বিচ্ছিন্ন প্রদেশ হিসেবে দেখে। প্রয়োজন পড়লে জোর খাটিয়েই দ্বীপটির
নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেওয়ারও হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে তারা।
সর্বশেষ
‘অনুপ্রবেশের’ ঘটনায় ২২টি
যুদ্ধবিমান, ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার, অগ্রিম সতর্কতা ও সাবমেরিনবিধ্বংসী এয়ারক্রাফট দেখা
গেছে বলে জানিয়েছে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ
বিমানগুলো প্রাতাস দ্বীপপুঞ্জের উত্তরপূর্বের একটি এলাকা দিয়ে উড়ে যায়, যে এলাকাটি
তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলের অংশ বলে মন্ত্রণালয়ের দেওয়ার ম্যাপে বলা হয়েছে।
তবে
ওই বিমানগুলো তাইওয়ানের আকাশসীমায় ঢোকেনি।
আকাশ
প্রতিরক্ষা অঞ্চল হচ্ছে কোনো দেশের ভূখণ্ড ও আকাশসীমার বাইরের একটি এলাকা। স্বঘোষিত
এই এলাকা কার্যত আন্তর্জাতিক আকাশসীমারই অংশ।
এক
বছরেরও বেশি সময় ধরে তাইওয়ান তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে চীনা যুদ্ধবিমানের নিয়মিত
অনুপ্রবেশের খবর দিয়ে যাচ্ছে।
তাইওয়ানকে
আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীনতার ঘোষণা দেওয়া থেকে বিরত রাখতেই বেইজিং লাগাতার যুদ্ধবিমান
পাঠাচ্ছে বলে অনুমান বিশ্লেষকদের।
কয়েকদিন
আগে এশিয়া সফরে এসে বাইডেনও তাইওয়ানের আকাশ প্রতিরক্ষা অঞ্চলে চীনা যুদ্ধবিমানের ‘অনুপ্রবেশের’ প্রসঙ্গ তুলেছিলেন। বলেছিলেন, বেইজিং যদি দ্বীপটিতে
আক্রমণ করে তাহলে যুক্তরাষ্ট্র সামরিকভাবে জবাব দিতে পারে।