হাসপাতাল থেকে
প্রাপ্ত তথ্যে দেখা গেছে, গত এপ্রিল মাসের শেষের কয়েকদিনের তুলনায় মে মাসের
কয়েকদিনে রোগী ভর্তির সংখ্যা কমেছে।
আইসিডিডিআর,বির হাসপাতাল
প্রধান ডা. বাহারুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ঈদের সময় অনেক মানুষ ঢাকা
ছেড়েছেন। এ কারণে হাসপাতালে রোগী ভর্তির সংখ্যা কম হতে পারে।”
তবে প্রকৃত কারণ
এখনও বোঝা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।
হাসপাতালের
হিসাব অনুযায়ী, ১ মে ৬৩১ জন, ২ মে ৫৫৯ জন, ৩ মে ঈদের দিন ৪২৯ জন এবং ৪ মে ৬৪১ জন ডায়রিয়া
নিয়ে আইসিডিডিআর,বিতে ভর্তি হন।
বৃহস্পতিবার
বেলা ১০টা পর্যন্ত ভর্তি হন ১৫১ জন। সারাদিনে রোগী ভর্তির সংখ্যা পাঁচশর নিচে থাকার
কথা জানান আইসিডিডিআর,বির প্রধান ডা. বাহারুল আলম।
আইসিডিডিআর,বিতে
এর আগে ৩০ এপ্রিল ৬৬৫ জন, ২৯ এপ্রিল ৭০১ জন, ২৮ এপ্রিল ৮৫০ জন, ২৭ এপ্রিল ৮৩৯ জন, ২৬
এপ্রিল ৯৬২ জন, ২৫ এপ্রিল ৯০০ জন এবং ২৪ এপ্রিল ৯০৫ জন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন।
চিকিৎসকরা বলছেন,
ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমেছে, পাশাপাশি ঈদের সময় অনেক মানুষ ঢাকা ছেড়ে
গ্রামের বাড়িতে গেছে। এ কারণেও হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা কম হতে পারে।
মার্চের
মাঝামাঝিতে ঢাকা ও আশপাশের কয়েকটি এলাকায় ডায়রিয়া প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে ঢাকার কলেরা
হাসপাতালটিতে রেকর্ড সংখ্যক রোগী ভর্তি থাকে থাকে। রোগীর চাপ সামলাতে অস্থায়ী
ওয়ার্ড তৈরি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
ডায়রিয়ার
প্রাদুর্ভাব সাধারণত ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ থাকে। ওই সময় পার হয়ে ডায়রিয়া প্রাদুর্ভাব
কমেছে কি না- এমন প্রশ্নে বাহারুল আলম বলেন, “এটা বলা যাচ্ছে না। ঈদের আগেও রোগী ছিল, ঈদের দিন
কিছুটা কম।
“ঈদের পরদিন আবার কিছুটা
বেড়েছে। এ কারণে বলা যায় না প্রাদুর্ভাব শেষ হয়ে গেছে। তবে আক্রান্তের সংখ্যা
কমেছে… শিওর।”